ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ভাষার ব্যবহার

ড. সাখাওয়াৎ আনসারী |

ভাষা সম্পর্কে এ দেশের মানুষের যে ধারণা, তা অনেকটাই ভ্রান্ত। ভাষা বলতে এ দেশের মানুষ বাচনকে (স্পিচ) যেমন বোঝে, তেমনই বোঝে লেখাকেও। বস্তুত আমরা যা বলি, তা-ই ভাষা। আমরা যা লিখি, সেটি ভাষা নয়। এটি লেখা (রাইটিং)। বলা প্রয়োজন, লেখা হলো ভাষাকে সংরক্ষণের একটি কৌশল (রাইটিং ইজ এ টেকনিক অব রেকর্ডিং ল্যাংগুয়েজ)।

এ কারণেই বাংলা ভাষায় রচিত ভাষার ধারণা-নির্দেশক যে বক্তব্য- ভাষার দুই রূপ :একটি কথ্য এবং অন্যটি লেখ্য- ভুল। আসলে ভাষার রূপ একটিই, আর সেটি হলো আমাদের মুখনিঃসৃত কথা। স্মর্তব্য, 'ভাষা' শব্দটির মূলও সংস্কৃত 'ভাষ্‌' থেকে, যা মুখনিঃসৃত বাচনকেই নির্দেশ করে।

ভাষাই মুখ্য, লেখা গৌণ। লেখা গৌণ বলেই যে লেখাকে গুরুত্বহীন ভাবতে হবে- এমন নয়। লেখা গৌণ হওয়া সত্ত্বেও লেখার সৃষ্টি কিন্তু ভাষার সীমাবদ্ধতা থেকেই। ভাষার রয়েছে দুটি প্রধান সীমাবদ্ধতা :এক. স্থানগত সীমাবদ্ধতা এবং দুই. কালগত সীমাবদ্ধতা। একজন মানুষ যেখানে কথা বলে, অর্থাৎ ভাষার ব্যবহার করে, সেই স্থানের বাইরে তার নেই কোনো বিচরণ-ক্ষমতা।

এটি ভাষার স্থানগত সীমাবদ্ধতা। যে সময়ে মানুষ কথা বলে বা ভাষার ব্যবহার করে, সেই সময়ের পরে নেই তার কোনো অস্তিত্ব-ক্ষমতা। এটিই হলো ভাষার কালগত সীমাবদ্ধতা। ভাষার এই দুই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে লেখা। লেখা যে স্থানে সম্পন্ন হয়, সেই স্থানের বাইরে যেমন সে যেতে পারে, তেমনই যে কালে সম্পন্ন হয়, সেই কালের বাইরেও সে যেতে পারে। এ দুই-ই লেখার বিশিষ্টতা, যার কোনোটিই ভাষার নেই।

বাংলা ভাষার রক্ষণ, প্রচার ও প্রসারে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক। বাংলাদেশের প্রায় সব বাংলা গণমাধ্যম গুরুত্বের সঙ্গে এ দায়িত্ব পালনও করে চলেছে। প্রিন্ট মাধ্যম যেখানে প্রকৃতিগত কারণেই শুধু লেখার ক্ষেত্রে এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, সেখানে ইলেকট্রনিক মাধ্যম পালন করে চলেছে ভাষা ও লেখার উভয় দায়িত্বই। সেও ওই প্রকৃতিগত কারণেই। আমাদের আজকের লেখা ইলেকট্রনিক মাধ্যম নিয়ে। এবার সে আলোচনা।

বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে শুরু করে সব ক'টি চ্যানেলেই দর্শকদের জন্য লেখা প্রচার করে থাকে। এই লেখাগুলো দুই ধরনের :স্থির লেখা ও গতিশীল লেখা। লেখাগুলোর সিংহভাগই ভাষাবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে যথাযথ। এর পরও বলতে হয়, আমরা মাঝে মাঝে এমন কিছু লেখাও দেখি, যেগুলো প্রশ্নসাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ।

এ জাতীয় লেখাতে তাই চোখ আটকে যায়; দর্শকদের কাছে সেগুলো তাই তির্যক আলোচনারও খোরাক জোটায়। টিভি চ্যানেলগুলোর দর্শক সারাদেশের কোটি কোটি মানুষ। এই বিবেচনায় লেখাগুলো প্রচার করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষগুলোর অধিকতর নজরদারি ও দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশিত। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দিনের যে ত্রুটি ও অসঙ্গতিগুলো চোখে পড়েছে, সেগুলোই এখানে উল্লেখ করা হলো।

বানানের ত্রুটি :এক. বিদেশি শব্দের বানানে ত্রুটি :বাংলা একাডেমি প্রস্তাবিত বানানবিধি অনুযায়ী বিদেশি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় আগত শব্দগুলোতে '-িকার' ব্যবহার কাম্য হলেও অনেক বানানে তেমনটি না করে লেখা হয়েছে 'ফেব্রুয়ারী', 'কলোনী', 'স্কলারশীপ', 'ইসলামী', 'জরুরী' 'সরকারী', 'রপ্তানী', 'কাশ্মীরি'।

এগুলোর মধ্যে ইংরেজি থেকে আগত বলে কাম্য ছিল 'ফেব্রুয়ারি', 'কলোনি' ও 'স্কলারশিপ' লেখা। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে 'ফেব্রুয়ারী' লেখা নিতান্তই দুঃখজনক। 'ফেব্রুয়ারী' লেখাও হয়েছে একাধিক চ্যানেলে। আরবি থেকে 'ইসলাম' আগত বলে 'ইসলামি' লেখা কাম্য। ফারসি 'জরুর', 'সরকার' এবং 'রফ্‌তানী' থেকে এসেছে বলে কাম্য ছিল যথাক্রমে 'জরুরি', 'সরকারি' ও 'রপ্তানি'। ভারত ও পাকিস্তানভুক্ত স্থান 'কাশ্মির'কে 'কাশ্মিরি' লেখাও কাম্য। 

দুই. 'ণ'-এর স্থলে 'ন'-এর ব্যবহারজনিত ত্রুটি :সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়মানুসারে সংস্কৃত শব্দে 'ট', 'ঠ', 'ড' ও 'ঢ' পরে থাকলে যুক্তব্যঞ্জনে 'ণ' ব্যবহার কাম্য। এ জন্যই 'বণ্টন', 'উত্তরাখণ্ড' এবং কারাদণ্ড' শুদ্ধ হলেও ভুল বানানে লেখা হয়েছে যথাক্রমে 'বন্টন', 'উত্তরাখন্ড' এবং 'কারাদন্ড'। পক্ষান্তরে শব্দটি সংস্কৃত না হয়ে দেশি হওয়ায় লিখতে হয় 'গুন্ডা'।

এ কারণেই 'গুন্ডারাজ' বাঞ্ছনীয় হলেও ভুল বানানে লেখা হয়েছে 'গুণ্ডারাজ'। সংস্কৃত শব্দে 'র'-এর পর 'ণ' কাম্য হলেও লেখা হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ 'ধারনা' এবং 'পরিনত'। 'অংশগ্রহনকারী' এবং 'নারায়নপুর' লেখাও ভুল। মূলেই 'ণ' থাকায় লিখতে হয় 'অংশগ্রহণকারী' এবং 'নারায়ণপুর'। 

তিন. সংস্কৃত ভাষা-আগত আরও কিছু ভুল :সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসারে 'অন্তর্ভুক্তি', 'নেতাকর্মী', 'প্রতিবন্ধী', 'সহকারী' বাঞ্ছনীয় হলেও ভুল বানানে লেখা হয়েছে 'অন্তর্ভূক্তি', 'নেতাকর্মি', 'প্রতিবন্ধি' ও 'সহকারি'। ' ী-কার'-যুক্ত শব্দের পর তা প্রত্যয়যুক্ত হলে শব্দটি '-িকার' যুক্ত হয়ে ওঠে। এ জন্যই ভুল বানানে 'প্রতিদ্বন্দ্বীতা', 'প্রার্থীতা', 'বিরোধীতা' না লিখে লিখতে হয় 'প্রতিদ্বন্দ্বিতা', 'প্রার্থিতা' ও 'বিরোধিতা'। 'শ্রেণি' এবং 'শ্রেণী' উভয়ই ব্যাকরণসম্মত বলে 'শ্রেণি' লেখাই অধিকতর কাম্য। 'পুরঃ+কার= পুরস্কার' হলেও কিন্তু 'বহিঃ+কার= বহিস্কার'। একাধিক চ্যানেলে ভুল 'বহিস্কার' পরিদৃষ্ট। 

চার. আরও কিছু ত্রুটি ও অসঙ্গতি :বাংলা 'নি' প্রত্যয়যুক্ত হওয়ায় 'গণপিটুনি'ই ব্যবহার্য, 'গণপিটুনী' নয়। ইংরেজি সাল বলে কিছু না থাকায় সাল-নির্দেশে 'ইং'-এর ব্যবহার কোনোভাবেই কাম্য নয়। ব্যবহার করতে হয় 'খ্রি.'। প্রতিবর্ণীকরণে 'ইনজ্যুরি' না লিখে '্য-ফলা' বর্জন করে 'ইনজুরি' লেখা বাঞ্ছনীয়। উচ্চারণমুখী হয়ে 'টুয়েন্টিফোর' লেখা যেতে পারে; বর্জনীয় 'টোয়েন্টিফোর'। ' :' বিরতিচিহ্ন, আর 'ঃ' বর্ণ। এ জন্যই কদাচ কাম্য নয় 'আন্ত :জেলা', লিখতে হবে 'আন্তঃজেলা'। তদ্ভব 'মর'-এর সঙ্গে সংস্কৃত 'দেহ' যোগে 'মরদেহ' লিখলে গুরুচণ্ডালী দোষ হয়, যদিও শব্দটির প্রচুর ব্যবহার পরিদৃষ্ট। কাম্য 'মৃতদেহ'। 

বাক্যের ত্রুটি :এক. বিশেষ কোনো শব্দের ব্যবহার না করাজনিত ত্রুটি :লেখা হয়েছে 'নিজ নিজ হলে ভোট গ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত', '৭ জঙ্গির যাবজ্জীবন', '৩ জনের মৃত্যু একজনের যাবজ্জীবন', 'বিসোনটেকে যাবজ্জীবন দিয়েছে দেশটির আদালত', 'সংবাদকর্মীদের নবম ওয়েজ বোর্ড দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে', 'পাঁচ কর্মকর্তাকে কারাগারে'।

বাক্যগুলো কাম্য ছিল যথাক্রমে এরূপ :'নিজ নিজ হলে ভোট গ্রহণ করা হবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত', '৭ জঙ্গির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড', '৩ জনের মৃত্যু একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড' (আরও ভালো হতো '৩ জনের মৃত্যু, ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড'), 'বিসোনটেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আলাদত', 'সংবাদকর্মীদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে', 'পাঁচ কর্মকর্তাকে কারাগারে প্রেরণ' (অথবা 'পাঁচ কর্মকর্তা কারাগারে')। 

দুই. বাংলার পরিবর্তে ইংরেজির ব্যবহারজনিত ত্রুটি :'বাবুল কুমার ঘোষ রাজধানীর মগবাজারের রাশমনো হসপিটালে মারা গেছেন' না লিখে কাম্য ছিল 'বাবুল কুমার ঘোষ রাজধানীর মগবাজারের রাশমনো হাসপাতালে মারা গেছেন' লেখা। 

তিন. বাক্যের গঠনজনিত ত্রুটি :'প্যাট শ্যানাহান আকস্মিক সফরে কাবুলে পৌঁছে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে বৈঠক, মার্কিন কমান্ডারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ' লেখা হয়েছে। বাঞ্ছনীয় বাক্যটি হতে পারত- 'প্যাট শ্যানাহানের আকস্মিক কাবুল সফর, প্রেসিডেন্ট (আরও ভালো হতো 'রাষ্ট্রপতি' লিখলে) আশরাফ ঘানির সঙ্গে বৈঠক, মার্কিন কমান্ডারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ'। 

চার. অর্থ প্রকাশে অস্পষ্টতা :'নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে হাজার হাজার নিরীহ নারী শিশু' লেখায় বোঝা যায় না যে, 'নারী ও শিশু', নাকি 'শিশুগুলো নারী'। প্রথম অর্থ প্রকাশ করতে চাইলে 'নারী ও শিশু', আর দ্বিতীয় অর্থ প্রকাশ করতে চাইলে 'নারীশিশু' লেখা যেত। 'পুলিশ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেফতার' একেবারেই বিভ্রান্তিকর।

পাঁচ. ছেলেমানুষী ভুল :লেখা হয়েছে 'এবারের বাণিজ্য মেলায় ২০০ কোটি টাকার আন্তর্জাতিক ক্রয় আদেশে এসেছে', '৪২টি প্রতিষ্ঠানক সম্মাননা দিয়েছে রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো', 'চিকিৎসা অভাবে ১ সপ্তাহে মৃত্যু', 'ছিটকে পড়লো সাকিব আল হাসান, বিশ্রামে থাকবেন তিন সপ্তাহ', 'সংরক্ষিত নারী আসনে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি (পাবনা) ও রত্না আহমেদ (নাটোর) নাম ঘোষণা'। ভুলগুলো একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। এগুলো শুধু অসতর্কতাই নয়, প্রচণ্ড অনান্তরিকতারও নিদর্শন।

এ বাক্যগুলোতে যথাক্রমে 'আদেশে'-র স্থলে 'আদেশ', 'প্রতিষ্ঠানক'-এর স্থলে 'প্রতিষ্ঠানকে', 'চিকিৎসা'-র স্থলে 'চিকিৎসার', 'পড়লো'-র স্থলে 'পড়লেন' এবং 'আহমেদ'-এর স্থলে 'আহমেদের' লেখা উচিত ছিল। ছয়. ধারণাজনিত ত্রুটি :লেখা হয়েছে 'সারাদেশে শিশুদের 'এ' প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু'। কর্মসূচিটি ছিল একদিনের। সকালে এ খবর প্রচার শুরু হয়, চলে রাত পর্যন্ত। 'শুরু' শব্দটির ব্যবহার রাতেও প্রযোজ্য কি-না, বিচারের ভার পাঠকদের। লেখা হয়েছে 'টিকেট একশ টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০% মূল্যছাড়'। এখানে 'মূল্য' অংশটুকু অসঙ্গত এবং অপ্রয়োজনীয়। যথাযথ ছিল 'টিকেট একশ টাকা, শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০% ছাড়'।

পত্রিকার স্থানগত সীমাবদ্ধতার জন্য আমরা শব্দ ও বাক্যের গুটিকয়েক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলাম। সমস্যা রয়েছে আরও নানাবিধ। আশা করছি, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আমরা অধিকতর সমস্যামুক্ত লেখার ব্যবহার দেখতে পাব।

অধ্যাপক, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সূত্র: সমকাল


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026900768280029