ইয়াবা দিয়ে কলেজে পড়ূয়া একই পরিবারের তিন বোনকে জেলে ঢোকানোর হুমকি দিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই আব্দুল লতিফ। গত বৃহস্পতিবার মনোয়ারা বেগম নামের এক নারীর অভিযোগ তদন্তে গিয়ে এসআই লতিফ মনোয়ারার সতিনের কলেজে পড়ূয়া তিন মেয়েকে এভাবে হুমকি দেন। এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে হুমকির এমন অভিযোগ এনে গতকাল রোববার সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মনোয়ারার সতিন রাহেলা বেগম। তিনি উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী জানাইয়া গ্রামের আশিক আলীর স্ত্রী।
২০১০ খ্রিষ্টাব্দে তিন ছেলে এবং এক মেয়েকে ফেলে রাহেলার স্বামী আশিক আলীকে ভয় দেখিয়ে বিয়ে করেন মনোয়ারা। এরপর থেকে আগের পক্ষের তিন ছেলেকে দিয়ে প্রতিনিয়ত রাহেলা ও তার সন্তানদের হুমকি-ধমকি দেন মনোয়ারা।
আশিক আলী টাকার জন্য প্রথম স্ত্রী রাহেলার ছেলে ইমামুল ইসলামের কাছে বাড়ির ৯টি গাছ চার হাজার টাকায় বিক্রি করেন। গত বুধবার ওই গাছ কাটার সময় মনোয়ারা থানায় গিয়ে ইমামুলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ করেন। রাতে অভিযোগ তদন্তে গিয়ে উভয়পক্ষকে ঝগড়াঝাটি না করতে বলেন এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা।
এর পরদিন বৃহস্পতিবার আবারও মনোয়ারা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, রাহেলার ছেলেমেয়েরা তাকে মারধর করেছে। ওই দিন দু'বার তাদের বাড়িতে যান এসআই আব্দুল লতিফ। এ সময় তিনি কলেজ পড়ূয়া মেয়েদের ইয়াবা দিয়ে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন। এসআই আব্দুল লতিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ তদন্তে গিয়ে যা করতে হয় তা তিনি করেছেন।
সিলেটের দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে এসআইয়ের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।