ঈদের আগে ৮০২ শিক্ষককে কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই অবসরপ্রাপ্ত ৮০২ জন বেসরকারি শিক্ষকের কল্যাণ সুবিধার মোট ৩৩ কোটি ছাড় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার (২৬ জুলাই) ট্রাস্ট থেকে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ট্রাস্টের উপপরিচালক আবুল বাশার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহার আগেই ৮০২ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ৩৩ কোটি ৫ লাখ ৩৪ হাজার ১২৫ টাকা পৌঁছে দেয়াসহ করোনা মহামারির মধ্যে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মোট ৭২ কোটি ৭১ লাখ ৫১ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো.শাহজাহান আলম সাজু নিজে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে। 

অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর বরাতে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ৮০২ জনের তালিকায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের মে এবং জুন মাসের নিয়মিত আবেদন ছাড়াও মৃত, অসুস্থ, মুক্তিযোদ্ধাসহ পরিপূরক বিশেষ আবেদন রয়েছে। ইতোমধ্যেই। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ সুবিধার টাকা বিএফটিএনের মাধ্যমে যার যার ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। 

তবে, কোন ৮০২ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে টাকা দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি ট্রাস্টের ওয়েবসাইটেও  দেয়া হয়নি।

এমপিওভুক্তির দিন থেকেই শিক্ষকদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ থেকে ৪ শতাংশ হারে চাঁদা হিসেবে কেটে রাখা হয় এই কল্যাণ ফান্ডের জন্য। কিন্তু অবসরে যাওয়ার পরও বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় টাকার জন্য। টাকাগুলো  কোন ব্যাংকে, সুদের কোন হিসেবে রাখা হয় ইত্যাদি বিষয় জানার এখতিয়ার সাধারণ শিক্ষকদের নেই। ট্রাস্টের জন্য চাঁদা কর্তন বাধ্যতামূলক নয়। সাধারণ শিক্ষকদের মতামত ছাড়াই চাঁদার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হয়। তবে, যত টাকা চাঁদা হিসেবে জমা দেন তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি টাকা পান শিক্ষকরা। 

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠার পর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দর মে মাস পর্যন্ত যারা কল্যাণট্রাস্টের সদস্য-সচিব ছিলেন। তাদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি, পছন্দের ব্যাংকে টাকা জমা রেখে অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা নেয়া ও টাকা লুটপাটের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু কারো বিরুদ্ধেই কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054469108581543