বগুড়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের আট কর্মচারীর বেতন-ভাতা ও ৩১৪ শিক্ষার্থীর স্টাইপেন (বৃত্তি) না হওয়ায় তাদের পরিবারে ঈদের আনন্দ মলিন হয়ে গেছে। তিন মাস প্রতিষ্ঠানের ইনচার্জ না থাকা এবং ১৩ মে পদায়ন করা একজনকে সঠিক সময়ে যোগদান করতে না দেয়ায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীরা সংকটের জন্য মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ টি এম নুরুজ্জামান ও সংশ্লিষ্টদের দায়ী করছেন।
বগুড়া নার্সিং ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, লুৎফুন্নেসা নামে একজন ১৫ জানুয়ারি নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। এক মাস পর পদায়ন হলে তিনি বগুড়া নার্সিং কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দেন। নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ পদ শূন্য থাকায় মুস্তা নুর সুলতানা নামে একজনকে সাময়িক দায়িত্ব দেয়া হয়। তার আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় গত মার্চ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও শিক্ষার্থীদের মাসিক বৃত্তি (এক হাজার ৮০০ টাকা) বন্ধ হয়ে যায়।
এ অচলাবস্থা নিরসনে নার্সিং ও মিডওয়াইফারির মহাপরিচালক তন্দ্র শিকদারের ১২ মে স্বাক্ষরিত পত্রে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিনা মমতাজকে নিজ বেতনক্রমে বগুড়া নার্সিং ইনস্টিটিউটে নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পদে পদায়ন করা হয়। এ পদায়ন ঠেকাতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপর হয়। তারা শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলনে নামায়। শিক্ষার্থীরা হাসিনা মমতাজের বদলি আদেশ প্রত্যাহার ও ওই পদে মুস্তা নুর সুলতানাকে রাখতে সপ্তাহব্যাপী হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।