ঈদুল আজহার সরকারি ছুটিতে শিক্ষক-কর্মচারী ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এছাড়া বন্যা দুর্গত এলাকার স্কুল-কলেজগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা সব জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সব স্কুল-কলেজের প্রধানদের পাঠানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাস মহামারি ও চলমান বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার (২২ জুলাই) এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, চলমান বন্যা পরিস্থিতি এবং করোনাভাইরাসের কোভিড-১৯) বিস্তার রোধকল্পে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও এর আওতাধীন সকল দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আসন্ন ঈদের সরকারি ছুটিতে বা ঐচ্ছিক ছুটিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
আদেশে আরও বলা হয়, বন্যা দুর্গত এলাকার সব স্কুল ও কলেজ সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে খুলে দেয়ারব নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ইমেইলে অধিদপ্তরে পাঠাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এছাড়া বন্যা দুর্গত এলাকায় অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল পর্যায়ের দপ্তর ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সম্পক্ত থেকে প্রয়োজনীয় সহযােগিতা দিতে বলা হয়েছিল। আসন্ন ছুটির সময় আঞ্চলিক উপ-পরিচালক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
করোনা ভাইরাস মহামারির বিস্তার ঠেকাতে ঈদুল ফিতরেও সব শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।