উরা নিশা, ২১ বছর বয়সী তরুণী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় সূত্রে জড়িয়ে পড়েন উগ্রবাদে। আর এই উগ্রতা থেকে পরে জড়িয়ে পড়েন সন্ত্রাসবাদে। উগ্রতা থেকে ফিরতে তিনি বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা নিচ্ছেন। চীনের শিনচিয়াং প্রদেশের শফু এডুকেশন অ্যান্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে কারিগরি শিক্ষা নিচ্ছেন। অপরাধকর্মে যুক্ত হলেও কারিগরি শিক্ষা নেওয়ায় তিনি দণ্ড কিংবা শাস্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন রফিকুল ইসলাম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় আলম জান, ২৩ বছর বয়সী তরুণ। অনলাইনে ভিডিও দেখে চরমপন্থায় জড়িয়ে পড়েন। এই পন্থা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজও করেন। নিজে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ এবং অন্যদের উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগে একসময় অভিযুক্ত হন। কাশি মিউনিসিপাল ভোকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে কারিগরি শিক্ষা নেওয়ার শর্তে তিনি দণ্ড ও শাস্তি থেকে রেহাই পান।
উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায় অধ্যুষিত চীনের শিনচিয়াং প্রদেশে উগ্রবাদ কিংবা সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়া তরুণ-তরুণীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে চীনা সরকার। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে উগ্রতায় জড়াচ্ছে। তবে ছোট-বড় অপরাধে অভিযুক্তদের আইনি শাস্তি বা দণ্ডে ছাড় দিয়ে কারিগরি শিক্ষা প্রদান বাধ্যতামূলক করেছে চীনা সরকার। অভিযুক্তরা কারিগরি শিক্ষা নিলে জেল বা দণ্ড থেকে রেহাই পায়। ইলেকট্রনিক, ফ্যাশন ডিজাইন, বেকারি পণ্য তৈরি, রূপচর্চায় তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষিত করছে চীন। উগ্রতা বন্ধে নিজস্ব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চর্চাও জোরদার করছে তারা।
সম্প্রতি চীনের শিনচিয়াং প্রদেশের কাশি মিউনিসিপাল ভোকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং শফু এডুকেশন অ্যান্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানে তিন হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী কারিগরি শিক্ষা নিচ্ছে, যারা উগ্রতা বা সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ ও জড়িত।
কাশি মিউনিসিপাল ভোকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক মিজিদ মাহমুদ বলেন, ‘উগ্রতা রুখতে ২০১৭ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।