উচ্চশিক্ষা কমিশন আর কতদূর?

বাহালুল মজনুন চুন্নু |

উচ্চশিক্ষা জ্ঞানের জগতে কেবল নতুন জ্ঞানেরই সংযোজন ঘটায় না, পেশাগত দক্ষতা সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক দিক দিয়ে সমাজ ও দেশকে এগিয়েও নিয়ে যায়। এজন্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগতমানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। তবে সেই প্রসারটা যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংখ্যাগত তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিস্থিতি ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ঘাটতি থেকে স্পষ্টই বোঝা যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চশিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন অধ্যাদেশ যেমন জারি করেছিলেন তেমন সার্বিক তদারকির জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সে সময় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল মাত্র ছয়টি। সময়ের পরিক্রমায় ক্রমান্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৪০টি আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ৯৭টি। এই যে এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে কিন্তু এর জন্য ইউজিসির সক্ষমতা তেমনভাবে বাড়েনি, ক্ষমতাও বাড়েনি। যার পরিণতিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার ক্ষেত্রে এক ধরনের অরাজকতা লক্ষ্য করি। বিশেষ করে বলতে হয়  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কথা। অল্প কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুণগতমান বজায় রাখার চেষ্টা করলেও বেশির ভাগের অবস্থা তথৈবচ। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষা-উপকরণ, গবেষণাগার, লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, যোগ্য শিক্ষক ইত্যাদির বড়ই অভাব বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের। পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই ভাড়া করা ছোট্ট বাসায় কবুতরের খোপের মতো কক্ষে, ঘিঞ্জি পরিবেশে যত্রতত্র গড়ে উঠছে নিজস্ব ক্যাম্পাসহীন মুনাফাকেন্দ্রিক এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এগুলোয় টিউশন ফি, সেশন চার্জ, ডোনেশনসহ অন্যান্য চার্জ ধরা হয় স্বাভাবিকতার কয়েক গুণ বেশি। শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার পরিবর্তে সার্টিফিকেট বাণিজ্যই এখানে প্রধান। ফলে গড়ে উঠছে এক ধরনের ফ্যাশনসচেতন ফাঁপা প্রজন্ম, যারা পিতার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ব্যয় করে নাকমুখ ভেংচিয়ে বাংলিশধর্মী দু-একটি কথাই কেবল বলতে পারে; জ্ঞান আহরণ, গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদের পরিবর্তে হয়ে উঠছে ‘শিক্ষিত বেকার’ অভিধায় দেশের বোঝা। এটা এ জাতির ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা দরকার, যা ইউজিসি করতে পারছে না।

সত্যি কথা বলতে কি, ইউজিসির কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানা অনিয়ম করলেও ইউজিসি কেবল বাঘের মতো হুঙ্কারই ছাড়তে পারে, কিন্তু কোনো প্রতিবিধান করতে পারে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নানা অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ হাতেনাতে পেলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সুপারিশ করা ছাড়া কিছুই করতে পারে না ইউজিসি। প্রায়ই দেখা যায়, সেই সুপারিশ কেবল সুপারিশ হিসেবেই থাকে, রহস্যজনক কারণে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। অনেক সময় ফাইল লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও লাল ফিতার দৌরাত্ম্য তো আছেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লাগামহীন দুর্নীতির মাধ্যমে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে সার্টিফিকেট বাণিজ্য। ইউজিসির হাতে বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা না থাকায় এমনটা হচ্ছে। ইউজিসির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা না গেলে এ অরাজক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনিয়ম-দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ, উচ্চশিক্ষাকে যুগোপযোগী, বহুমাত্রিক ধারায় বিকশিতকরণ ও  মানোন্নয়ন, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ও একাডেমিক ব্যবস্থার উৎকর্ষ সাধন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও মানোন্নয়ন, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধকরণের জন্য ইউজিসিকে ‘শাস্তি সুপারিশকারী’ প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে অ্যাকশন নেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন, উৎকর্ষ সাধন এবং বিস্তৃতির লক্ষ্যে ইউজিসিকে উচ্চশিক্ষা কমিশনে রূপান্তরের ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নসহ সব  ক্ষেত্রেই আজ এ দেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে তারই নেতৃত্বগুণে। তিনি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নিয়েছেন অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তটি ছিল এমনই এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমাদের আশপাশের প্রায় সব দেশেই উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখা ও উচ্চশিক্ষার তদারকির জন্য আছে উচ্চশিক্ষা কমিশন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৪ দেশে উচ্চশিক্ষা কমিশন রয়েছে। ফিজি, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মতো দেশেও রয়েছে উচ্চশিক্ষা কমিশন। আমাদের দেশে এটা না থাকায় যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করার ঘোষণা দেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই আশা করেছিলাম এবার তাহলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে, আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান সমস্যাগুলোরও দ্রুত সমাধান হবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কারণে। তবে দুর্ভাগ্য বলতেই হবে, ছয় বছর পরও উচ্চশিক্ষা কমিশন আলোর মুখ দেখেনি। মাঝে মাঝে পত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশার বাণী শোনান। কিন্তু শম্বুক গতিতেই কাজ চলছে বলে প্রতীয়মাণ হয়।

ইউজিসি উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠনের রূপরেখা দাঁড় করিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল। তাতে সরকারি ও  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার চাহিদা নিরূপণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতিনির্ধারণের ক্ষমতা দিয়ে ইউজিসির পরিবর্তে স্বায়ত্তশাসিত, স্বাধীন ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন-২০১২ নামে খসড়ায় উচ্চশিক্ষা কমিশনের গঠন, কার্যপ্রণালি, ক্ষমতা, ধারণা ও যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় মোট ১৫টি প্রধান ধারা ও শতাধিক উপধারা রয়েছে। এতে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর্তারূপে উচ্চশিক্ষা কমিশনকে প্রতিষ্ঠা ছাড়াও দেশে পরিচালিত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশেষ করে ‘ক্রসবর্ডার হায়ার এডুকেশন’ (সিবিএইচই) ও ‘ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন’ (টিএনই) নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন-২০১২-এর খসড়ার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের মন্তব্যসহ মতামত দেয় ইউজিসি। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে উচ্চশিক্ষা কমিশনে রূপান্তরের বিষয়ে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছিল।

কমিশন যে খসড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিল তা সংশোধন করে ১৫টি স্থানে ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে’ বাক্যাংশ যোগ করা হয়েছে। এতে আসলে কমিশন যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সে বিষয়টিই সামনে চলে আসে। আর্থিক ও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে এখন ইউজিসি যে ক্ষমতা উপভোগ করছে, তাহলে তা করলেও ক্ষমতা হারাবে প্রতিষ্ঠানটি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়োগবিধি, সংবিধি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালা তৈরি ও এসব বিষয়ে সরাসরি অনুমোদন করতে পারে ইউজিসি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ও বিভাগ অনুমোদন দিতে পারে, সরকারি-বেসরকারি যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে পরিদর্শন, তদন্তকাজ পরিচালন ও তত্ত্বাবধান করতে পারে ইউজিসি। কিন্তু প্রণীত খসড়ায় এসব বিষয়ে ‘সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে’ ও ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে’ কথা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তার মানে উচ্চশিক্ষা কমিশন পুরোপুরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। অধীনতা আর স্বায়ত্তশাসন একসঙ্গে চলে না। যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনই থাকে তবে বর্তমান ইউজিসির সঙ্গে তো উচ্চশিক্ষা কমিশনের তেমন তফাত থাকে না।

ইউজিসির তৈরি খসড়ায় বলা হয়েছিল, কমিশন হবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অধীনে। স্বাধীনভাবে এ কমিশন যে কোনো প্রশাসনিক ও আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এটি পুরোপুরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতামুক্ত হলে স্বাধীনভাবে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ পাবে। কেননা মন্ত্রণালয়ের একটি উইং হয়ে দেশের উচ্চশিক্ষার কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা সম্ভব নয় আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই। আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণহীন সম্পূর্ণ পৃথক ও স্বাধীন উচ্চশিক্ষা কমিশন সত্তাই পারবে উচ্চশিক্ষার মানের উন্নয়ন ঘটাতে। তবে উচ্চশিক্ষা কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আবশ্যিকভাবে যোগসূত্র ও সমন্বয় থাকার প্রয়োজন রয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত উচ্চশিক্ষা কমিশন তার সব কাজের অনুলিপি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে পারে। আইনের ব্যত্যয় ঘটলে, আপত্তি থাকলে, মূল উদ্দেশ্য ভূলুণ্ঠিত হলে মন্ত্রণালয় অবশ্যই উচ্চশিক্ষা কমিশনকে জানাবে এবং উচ্চশিক্ষা কমিশনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে যার যার অবস্থান থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও উচ্চশিক্ষা কমিশন দেশের উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে কাজ করবে।

এটা নিয়ে কোনো ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা ঠিক নয়। এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে উচ্চশিক্ষা কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে না সম্পূর্ণরূপে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে এ বিতর্কের কারণেই উচ্চশিক্ষা কমিশনের কাজ ফাইলে চাপা পড়ে আছে। দেশের উচ্চশিক্ষার স্বার্থে বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে  উচ্চশিক্ষা কমিশন যাতে আলোর মুখ দেখতে পায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আরেকটি বিষয় হলো স্বায়ত্তশাসিত উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠনের পর সেই কমিশন যেন আবার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসনে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ না করে সেই দিকটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। না হলে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসনকে খর্ব করা হবে। এ ক্ষেত্রে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা কমিশনের সমন্বয়ের ভিত্তিতেই উচ্চশিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি দূরীকরণসহ জ্ঞানচর্চা, গবেষণা, অবকাঠামো ও শিক্ষার মানের যথাযথ উন্নয়নের জন্য উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠনের বিকল্প নেই। মোট কথা, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং জীবন ও জীবিকামুখী উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবারই উচিত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য যূথবদ্ধভাবে কাজ করা।

 

লেখক : সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0063619613647461