উচ্চাভিলাষী অবাস্তব প্রকল্পে হাজার কোটি টাকা অপচয়ের আশঙ্কা

হামিদ-উজ-জামান |

শিক্ষা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের নামে অযৌক্তিক প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। সরকারের শেষ সময়ে এসব উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের ব্যয় এবং বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ পরিকল্পনা কমিশন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এসব অযৌক্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে সরকারের হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ অপচয় বা তছরুপ হতে পারে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকল্প অনুমোদনে তাগিদ দিচ্ছে। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন বুঝতে পারছে না বিরাজমান বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে বহুতল স্কুল ভবনে জটিল ও ব্যয়বহুল এসকেলেটর বা চলন্ত সিঁড়ি কেন ব্যবহার করা হবে।

পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি টেলিভিশন চ্যানেল চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় ১৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প প্রস্তাবেও আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। তারা বলছে, টিভি চ্যানেলের মতো একটি পুরনো ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরশিক্ষণ পাঠদান সহায়ক নয়। গ্লোবাল টেকনোলজির সঙ্গে সমন্বয় করে দূরশিক্ষণে ডিজিটাল অনেক পদ্ধতি আছে যা অধিক কার্যকর হবে। না হলে পুরো অর্থই অপচয় হতে পারে।

সূত্রমতে, পরিকল্পনা কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেসব প্রকল্পে আপত্তি জানিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসকেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) স্থাপন, বিভিন্ন সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণের নামে লিফটের পরিবর্তে এসকেলেটর স্থাপন এবং শিক্ষামূলক টেলিভিশন চ্যানেল চালু। এ জন্য ব্যয় ধরা হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এসব প্রকল্পের যৌক্তিকতা এবং উচ্চাভিলাষী ব্যয় নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তাবিত কার্যক্রম অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে। তাছাড়া বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের বিনিয়োগ কতটুকু যৌক্তিক এবং টেকসই তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

বিশেষ করে সরকারি অধিকাংশ বিদ্যালয় শহরের বাইরে অবস্থিত। এসব বিদ্যালয়ে ব্যয়বহুল এসকেলেটর স্থাপন কেন হচ্ছে তা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। যেখানে গ্রামে বিদ্যুৎ সংকট প্রকট সেখানে চলন্ত সিঁড়ি স্থাপন বাস্তবতার নিরিখে অযৌক্তিক দাবি সংশ্লিষ্টদের। এ ধরনের প্রকল্প বিবেচনায় আনা হলে সরকারের শত শত কোটি টাকা অপচয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে কমিশন মনে করে। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে নিয়মিত এসকেলেটর সার্ভিসিং এবং যথাযথ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না। এতে অল্প সময়ের ব্যবধানেই এসব চলন্ত সিঁড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এর আগে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন এবং টিভি চ্যানেল স্থাপন সংক্রান্ত প্রকল্পটি ফেরত দেয়া হয়েছে। আর সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পটির ওপর আবারও প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ সোমবার। এতে সভাপতিত্ব করবেন কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। এ সভায়ও চলন্ত সিঁড়ি স্থাপনের বিষয়টিতে আপত্তি অথবা বিকল্প কী হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ রোববার যুগান্তরকে বলেন, কালকের (আজ) পিইসি সভায় এসকেলেটর অথবা লিফটের বিকল্প কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ ক্ষেত্রে ১০ তলা ভবন হলে দুই তলা সিঁড়ি তারপর দুই তলা এসকেলেটর এভাবে করা যেতে পারে। অথবা সুউচ্চ ভবন নির্মাণ না করে ৫-৬ তলার মধ্যে সীমিত রাখা যেতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লুটপাট করার উদ্দেশ্যে এমন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে বিষয়টি তেমন নয়। তবে কমিশন ভালো মনোভাব নিয়ে কাজ করছে যাতে টাকাটা অপচয় না হয়।

সূত্র জানায়, ‘সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি এর আগে গত বছরের ২১ মার্চ অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ সময় বহুতল কলেজগুলোর একটি আদর্শ নকশা প্রণয়নের নির্দেশ দেয়া হয়। তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বর্তমানে প্রকল্পটির সংশোধিত ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রস্তাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, একনেক সভায় বহুতল কাঠামোর কলেজগুলোর আধুনিক নকশায় আবশ্যিকভাবে টানা বারান্দা, খোলামেলা ক্লাসরুম, দরজা-জানালার ওপর লুপ গ্লাস দেয়া, ছাদগুলো ঢালু করা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, খেলার মাঠ এবং লিফটের পরিবর্তে এসকেলেটর স্থাপন করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। কিন্তু লিফটের পরিবর্তে ব্যয়বহুল এসকেলেটর দিতে হবে এ যুক্তি মানতে নারাজ পরিকল্পনা কমিশন। এ বিষয়ে জিও বা আদেশ জারি না করে এবং প্রকল্প ব্যয় অনেক টাকা বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি আরও পর্যালোচনার জন্য পিইসি সভা আহ্বান করেছে। প্রয়োজনে প্রকল্পটি আবারও একনেকে উপস্থাপন করা হতে পারে- এমন সম্ভাবনার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এক মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ১০ তলা একাডেমিক ভবনগুলোর জন্য লিফট, এসকেলেটর ও ডিজেল জেনারেটর স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এসব বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলোর নিয়মিত পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের কাজের যৌক্তিকতা সভায় আলোচনা করা হবে। এ ছাড়া লিফট বা এসকেলেটর চালু রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং প্রকল্প-পরবর্তী ডিজেল জেনারেটরের জ্বালানি কিভাবে সরবরাহ করা হবে, বা এ ধরনের বিনিয়োগ কতটুকু টেকসই হবে তা আলোচনার প্রয়োজন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ২০০টি সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৬টি কলেজে বিভিন্ন ভিতবিশিষ্ট জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে ১০ তলা ভিত এবং উপজেলা পর্যায়ে ৬ তলা ভিতের ওপর ৩ থেকে ১০ তলা পর্যন্ত একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) জন্য একটি শিক্ষামূলক টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব দেয়া হয়। এ জন্য ১৮৬ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। দূরশিক্ষণের বর্তমান যুগের জনপ্রিয় মাধ্যমে কম্পিউটার মডারেশন ইন্টারনেট বেইজড কমিউনিকেশন (সিএমসি) বাদ দিয়ে পুরনো ব্যবস্থা টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণ পাঠদান যথাযথ না হওয়ায় পুরো প্রকল্পটিরই বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। কমিশন আধুনিক ও সহজতর মাধ্যম ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং গ্লোবাল টেকনোলজির সঙ্গে সমন্বয় করে দূরশিক্ষণের জন্য কী ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় তা নির্ধারণ করতে উল্টো প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে বিটিভির সঙ্গে আরও সমন্বয় বাড়ানো এবং যেসব প্রোগ্রাম পরিচালনা হচ্ছে তা আরও অধিকতর করা যায় কি না সেটি ভাবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আবদুল মান্নান রোববার যুগান্তরকে বলেন, এটি প্রচলিত টিভি চ্যানেলের মতো হবে না। এর মাধ্যমে আমরা দূরশিক্ষণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে লাইভ ক্লাস করাব। যা বিটিভির মাধ্যমে সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক অনেক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে এ ধরনের টিভি চ্যানেলের প্রয়োজন আছে। আমরা হয়তো ওইভাবে প্ল্যানিং কমিশনকে বোঝাতে পারিনি। তাদের দেয়া প্রস্তাব এখনও আমার হাতে আসেনি। আসলে পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন বলেছে, টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে যে কোনো সময় শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষা নিতে পারবে না। তাকে নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট জায়গায় বসে এ শিক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এটি কষ্টসাধ্য। দূরশিক্ষণ শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণী পাঠদান ব্যবস্থা যেমন সহায়ক নয়, তেমনি টিভি চ্যানেলের মতো একটি পুরনো ব্যবস্থার মাধ্যমেও দূরশিক্ষণ পাঠদান সহায়ক নয়। গ্লোবাল টেকনোলজির সঙ্গে সমন্বয় করে দূরশিক্ষণের জন্য কী ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকর হবে তা নির্ধারণের জন্য অধিকতর সম্ভাব্যতা যাচাই করে তার সুপারিশের আলোকে প্রকল্প প্রণয়ন করা যেতে পারে। তাছাড়া টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠার মতো কারিগরি দক্ষতা, অবকাঠামো, ব্যবস্থাপনা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করে তথ্য মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠার মডারেট আছে বলে মনে হয় না।

অন্যদিকে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও একটি উচ্চাবিলাষী প্রকল্প প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশনে। এর মাধ্যমে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসকেলেটর স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এ প্রস্তাবেও জোর আপত্তি এসেছে। এ ক্ষেত্রে চারটি যুক্তি তুলে ধরে কমিশন। এগুলো হচ্ছে- বিদ্যুৎ অপচয় বাড়বে, মেনটেইনেন্স ঠিকমতো হবে না ও নষ্ট হয়ে পড়ে থাকবে, শিক্ষার্থীদের হাঁটার অভ্যাস নষ্ট হবে এবং অর্থের অপচয় হবে। এসব আপত্তিসহ প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য ফেরত দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির বিভিন্ন খাতের ব্যয় নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয় ৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। যদিও একনেক অনুমোদিত এ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। কিন্তু সেখান থেকে ১ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে নতুন করে প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মহিউদ্দিন খানের আগে যুগান্তরকে জানান, এটা অবশ্যই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। কিন্তু দেশ যেহেতু এগিয়ে যাচ্ছে, সেহেতু এরকম পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044500827789307