বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উচ্চৃঙ্খল কয়েকজন ছাত্রের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় সড়কে এ ঘটনা ঘটে। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। উত্ত্যক্তকারীরা ওই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাব্বি হাসান সবুজ তার এক সহপাঠীর সঙ্গে বিজয় সড়কে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ওই ছাত্রীর উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদ করায় সবুজকে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী মারধর করে।
এতে তার নাক ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত রাব্বী হাসান সবুজ বলেন, ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠান দেখে ফেরার সময় বিজয় সড়কের সামনে আমাদের পথরোধ করে আমার ও আমার বান্ধবীর শরীর স্পর্শের উদ্দেশ্যে হাত দিতে গেলে আমি বাধা দেই। এক পর্যায়ে আমার ওপর চড়াও হয় তারা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, তারা আমাকে বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদ করায় আমাকে লাঞ্ছিত করে ও আমার বন্ধুকে মারধর করে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, মারধরের সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়। কেউ ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে যুক্ত হলে তার দায় ছাত্রলীগ নেবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। মারধরের সঙ্গে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী জড়িত বলে শুনেছি। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’