উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান,উপাচার্য পদত্যাগ বা ছুটির লিখিত আবেদন না করলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। যতক্ষণ তাদের একদফা দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এই দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেদের ১২ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তারা সময় উপযোগী সার্ভিস রুল, নীতিমালা সংশোধন করে পদোন্নতিসহ ১২ দফা দাবি জানান।
এর আগে, আন্দোলনের ১১তম দিনে গত শনিবার বরিশাল সার্কিট হাউসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৪ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, সিটি মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হককে আর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন না করতে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মাধ্যমে উপাচার্যকে ছুটি দিয়ে কিংবা পদত্যাগ করিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যায় বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ কিংবা তাকে ছুটিতে পাঠানোর প্রমাণ পত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন না জানানোয় প্রতিবাদ করলে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কটুক্তি করেন। এর প্রতিবাদ ও প্রত্যাহার সহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। গত ২৯ মার্চ ভিসি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট না হওয়ায় ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।