করোনার কারণে এবছর কেন্দ্রীয়ভাবে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কয়েক দিন আগে এই পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ( ২৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে বলা হয়, “২০২০ সালের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।” বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'মহামারীর মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবারের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।'
জেএসসি-জেডিসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। করোনাকালের এই পরিস্থিতিতে সরকারের আজকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিপুল এই সংখ্যক শিক্ষার্থীকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে না।
তবে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার প্রাথমিক সমাপনী ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা না নেয়ার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। এবার স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে।
মহামারীর কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এই ছুটির মেয়াদ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মহামারীর কারণে স্থগিত আটকে আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কি হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তবে কওমি মাদরাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ ভাবে অনুসরণ করতে হবে মাদরাসাগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে কওমি মাদরাসাগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।