এই মাসে দেশের ওপর দিয়ে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে বৃষ্টিসহ মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। আর জানুয়ারির শেষে আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ এই তথ্য জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, অতিরিক্ত সচিব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মহসিন।
শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা ও ময়মনসিংহ ছাড়া সর্বত্রই বৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হবে। তখন থেকেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে। ৬ জানুয়ারি থেকে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
তিনি জানান, জানুয়ারিতে দুটি শৈত্যপ্রবাহ হবে। ৩, ৪, ৫ জানুয়ারি বৃষ্টি হবে। এর পরেই শীত নামবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকবে। জানুয়ারির শেষে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে শুধু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি এলাকা মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়বে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মধ্যম ধরনের শীত থাকবে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যশোরে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস, সাতক্ষীরায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও কুমারখালীতে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।