খুলনায় একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে দেশের পঞ্চম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি মিলেছে। প্রথম পর্যায়ে দুটি অনুষদের ৬০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়া যাবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা হবে ৯ মার্চ। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার শাজাহান জানান, প্রথম পর্যায়ে ভেটেরিনারি অ্যানিমেল অ্যান্ড বায়োমেডিকেল সায়েন্স অনুষদ এবং কৃষি অনুষদে ৩০ জন করে মোট ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হওয়ায় আপাতত অতিথি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেওয়া হবে। কৃষি অনুষদের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক নেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে ভেটেরিনারি অ্যানিমেল অ্যান্ড বায়োমেডিকেল সায়েন্স বিভাগের ক্লাস নেবেন উপাচার্য নিজে। তার সঙ্গে আরও একজন শিক্ষক নেওয়া হতে পারে। সব কিছুর প্রস্তুতিই মোটামুটি এগিয়ে চলেছে।
এর আগে একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সঙ্গে চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ। নগরীর দৌলতপুর থানার দেয়ানা এলাকায় কেসিসির নতুন কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় নেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শহীদুর রহমান খান বলেন, আমরা তিনটি অনুষদের অধীনে ৫০ জন করে মোট ১৫০ শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছিলাম। ইউজিসি দুটি অনুষদে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দিয়েছে। আপাতত দুটি বিভাগ দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতটি অনুষদের অধীন ৫১টি বিভাগ খোলা হবে। এর মধ্যে অনেকগুলো বিভাগ দেশের অন্য চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ খুলনার খালিশপুরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই জাতীয় সংসদে 'খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৫' পাস হয়। ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিযুক্ত করা হয় এবং ২৯ জানুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয় উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের।