ইতিহাস কথা বলে। মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা ভালো, যা মন্দ এবং মানবসভ্যতার জন্য অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ ১৮ আগস্ট, ২০১৮, শনিবার। ৩ ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৮০০ - ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপন।
১৮০৪ - ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ন বেনাপার্ট সেদেশের সম্রাট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
১৯৫৮ - ব্রজেন দাস প্রথম বাঙালি ও প্রথম এশীয় হিসাবে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতার কেটে অতিক্রম করেন।
১৯৬১ - বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৭৪ - ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজস্থান প্রদেশের মরুভূমিতে প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা।
২০০৮ - পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ চাপের মুখে পদত্যাগ করেন।
জন্ম
১৮৫০ - ফরাসি সাহিত্যিক বালজাক।
১৯৩৩ - রোমান পোলানস্কি, একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী পোলিশ চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯৪৯-সেলিম আল দীন, প্রখ্যাত বাংলাদেশি নাট্যকার, গবেষক। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি নাটকের আঙ্গিক ও ভাষার ওপর গবেষণা করেছেন। বাংলা নাটকের শেকড়সন্ধানী এ নাট্যকার ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজের নাটকে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। সেলিম আল দীনের প্রথম দিককার নাটকের মধ্যে সর্পবিষয়ক গল্প, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যা, এগুলোর নাম ঘুরে ফিরে আসে। সেই সঙ্গে প্রাচ্য, কীত্তনখোলা, বাসন, আততায়ী, সয়ফুল মূলক বদিউজ্জামান, কেরামত মঙ্গল, হাত হদাই, যৈবতি কন্যার মন, মুনতাসির ফ্যান্টাসি ও চাকা তাকে ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যকার হিসেবে পরিচিত করে তোলে। জীবনের শেষ ভাগে নিমজ্জন নামে মহাকাব্যিক এক উপাখ্যান বেরিয়ে আসে তার কলম থেকে। তার নাটকে বাংলা জনপদের প্রান্তিক মানুষের চিত্র অসামান্য সারল্যে ফুটে উঠেছে। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে তাকে সমাহিত করা হয়।
মৃত্যু
১৯৪৫ - সরলা দেবী চৌধুরানী, বিশিষ্ট বাঙালি বুদ্ধিজীবী।
১৯৬৮ - মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ, একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ।
১৯৬৯ - সম্পাদক ও কবি হুমাযূন কবির।
১৯৭৫ - শওকত আলী, রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা।
১৯৮০ - দেবব্রত বিশ্বাস। স্বনামধন্য ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়ক ও শিক্ষক।