শিক্ষকের বেতের আঘাতে স্কুলছাত্রী সম্পা খানমের (১১) চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক দিল আফরোজকে (৪০) আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (০৪ জুলাই) রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে, ওই স্কুল শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা শিক্ষা অফিস।
আহত স্কুলছাত্রী সম্পা খানম দরগাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার (০৫ জুলাই) সকালে তাকে ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার (০২ জুলাই) দুপুরে শহরের দরগাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিরতির পর শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিতে যান শিক্ষিকা দিল আফরোজ রত্না। শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকা সবাই দাঁড়িয়ে শিক্ষিকাকে সম্মান প্রদর্শন করে। এ সময় সম্পা হেসে ফেললে ওই শিক্ষিকা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেত্রাঘাত করেন। বেত্রাঘাতের এক পর্যায়ে সম্পার বাম চোখে মারাত্মক আঘাত লাগে। পরে গুরুতর অবস্থায় সম্পাকে তার সহপাঠীরা বাসায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন তাকে মাদারীপুর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ইসতিয়াক আহম্মেদ বলেন, শিক্ষার্থীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
বাবা সিরাজুল হক হাওলাদার বলেন, মেয়েকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছে।