জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত কোটি অলস টাকা পড়ে আছে ব্যাংকে। সরকার সেই টাকা জমা দিতে বলেছে কোষাগারে। এই খবর পেয়ে কয়েকশ কোটি টাকা খরচ নতুন ভবন বানানো ও কেনাকাটায় মেতে উঠেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও খাতা দেখার সম্মানীর মাত্র কয়েক হাজার টাকা দিচ্ছে না । করোনা সংকটে আর্থিক দুরাবস্থায় খাতা দেখার সম্মানী পেতে চান শিক্ষকরা।
দৈনিক শিক্ষার ইমেইলে পাঠানো চিঠিতে একজন শিক্ষক বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আর্থিক দুরাবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা দেখার সম্মানী পেলে আর্থিক দুরাবস্থা কিছুটা হলেও নিরসন হতো।
জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা দেখার সম্মানী শিক্ষকদের এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু এ নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকরা। তাদের জিজ্ঞাসা, শিক্ষকদের সম্মানীর টাকা বছরখানেক আটকে রেখে কারা লাভবান হচ্ছে? অবিলম্বে এ নিয়মের অবসান চান তারা।
এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে লেখা চিঠিতে জামালপুরের বকশিগঞ্জের খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, করোনার এ সংকটময় মুহূর্তে যদি খাতা দেখার সম্মানী পাওয়া যেত তাহলে শিক্ষকরা উপকৃত হতেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড যদি দ্রুত সম্মানীটা পাঠায় এতে শিক্ষকরা খুশি হতো।
তিনি আরও বলেন, খাতা দেখার কমপক্ষে এক বছর অতিবাহিত না হলে সম্মানী পাঠায় না। আমি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের খাতা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে দেখেছি। এখনও সম্মানী পাইনি। এটা কেমন নিয়ম? এ নিয়মের অবসান চাই। টাকা জমা রেখে কার লাভ?
এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় অফিস না খুললে কিছুই করার নেই।