প্রায় ১৭ বছর একটানা একই স্থানে চাকরি করছেন সিলেট সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন একই স্থানে অবস্থানের কারণে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিককালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনুপস্থিতিতে তিনি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষকদের ডেপুটেশনে ঢালাও বদলি বাণিজ্য নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। ভারপ্রাপ্ত জিপিও হিসেবে শিক্ষক বদলির বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর জিপিও ফিরে এলে বদলিকৃত শিক্ষকদের স্বপদে বহাল করা হয়।
সহকারী শিক্ষা অফিসার নিজের প্রভাব বিস্তার করে একজন শিক্ষিকাকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচিত। সিলেট বিমানবন্দর এলাকার একটি স্কুলে কর্মরত ওই শিক্ষিকার সঙ্গে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার আন্তরিক সম্পর্কের কারণে পরিদর্শনের নামে ওই স্কুলে তিনি নিয়মিত যাতায়াত করেন। তিন মাসেও একবার এক স্কুলে পরিদর্শনে না গিয়ে একই স্কুল বারবার পরিদর্শনের বিষয়টি শিক্ষকদের বিব্রত করছে। শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাদের হেনস্তা করেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ বদলি নিয়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পেয়ে গত ৭ এপ্রিল সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন। একই দিনে নওগাঁ ও পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসেও দুদক অভিযান চালায়। এ সময় দুদক টিম শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের সত্যতা পায়। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।