করোনা মোকাবেলায় সহায়তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে এক দিনের বেতন অনুদান দেবেন সব কারিগরির শিক্ষকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ ও এর অধীনস্ত অধিদপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দেশের ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসছেন তারা। এ প্রেক্ষিতে কারিগরি শিক্ষকদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কারিগরি অধিদপ্তরে পাঠানো নির্দেশ দেয়া হয়েছে সব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে।
রোববার (১২ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত চিঠি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে এমপিওভুক্ত সব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে আর্থিক অনুদান হিসেবে তাদের এক দিনের বেতন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে জমা দিতে চিঠিতে বলেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাসিক বেতন থেকে এক দিনের সমপরিমাণ টাকা জনতা ব্যাংকের আব্দুল গনি রোড শাখায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের খোলা অ্যাকাউন্টে (হিসাব নম্বর:০০২০৩৪৬৬৫) জমা দিতে বলা হয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একদিনের বেতন বাবদ উত্তোলিত টাকা শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া হবে। এই উদ্দেশ্যেই শিক্ষকদের টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে অসহায় মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আওতাধীন অধিদপ্তর-দপ্তর-সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব সরকারি অফিস স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী নিম্নআয়ের দিনমজুর ও বস্তিবাসীরা। নিম্নআয়ের মানুষের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতন অনুদান বাবদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা। ও সব সরকারি বেসরকারি শিক্ষকরা। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের একদিনের বেতনের টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যাংক একাউন্টে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এদিকে করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে অনুদান বাবদ বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাথমিকের সব শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।