একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মোট ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪২৯ ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় আবেদনের সময় শেষ হয়। নবগঠিত ময়মনসিংহ ও মাদ্রাসাসহ মোট ১০টি বোর্ডের অধীনস্ত কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে তারা। কারিগরি বোর্ড এ হিসেবের বাইরে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটায় ঢাকাবোর্ডের একাধিক সূত্র দৈনিকশিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছে। গত ১৩ মে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন গ্রহণ শুরু হয়।
তবে এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের আবেদন আগামী ৫ ও ৬ জুন গ্রহণ করা হবে। ৩১ মে পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ হবে।
ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। তার আগে ২৫ থেকে ২৭শে মে আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। প্রথম পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কলেজ নিশ্চিত করবে ১১ থেকে ১৮ই জুন পর্যন্ত। এবার শিক্ষার্থী ভর্তির নিশ্চায়ন না করলে নির্বাচন ও আবেদন বাতিল হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৯ ও ২০ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ২১ জুন। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৪ জুন। এই পর্যায়ের ফল প্রকাশ হবে ২৫ জুন। আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।
জানা যায়, সারাদেশে ৭ হাজার ৩১৯টি কলেজে ২৮ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৯টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ৯৮৭টি কলেজ রয়েছে। সেখানে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৭টি আসন রয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৩২ হাজার ৩৬৪টি কলেজে ৪২ হাজার ৭৪৪টি আসন রয়েছে। তাই ভর্তিতে আসন সংকট হবে না।
এবার ঢাকা বোর্ডে মোট ৪ লাখ ৩২ হাজার ২০১ জন পাস করেছে। পাস করা শিক্ষার্থীর চাইতে আসন সংখ্যা বেশি রয়েছে।
এছাড়া আট বোর্ডের অধীনে ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৯টি আসন রয়েছে। সেখানে গত ৬ মে প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবছর ১০টি শিক্ষাবোর্ডের গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬’শ ২৯ জন। ১০ বোর্ডে পাস করেছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১’শ ৪ জন। গতবারের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।