একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা ও শিক্ষাবোর্ডসমূহের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিটটি করেন। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটটি করা হয়েছে। আগামী রোববার (২০ মে) রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘২০১৮ খ্রিস্টাব্দের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা সংবিধানের ৭, ১৫, ১৯, ২৬ ও ৩১ ও ৪০ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের মাধ্যমিক শিক্ষা অর্ডিন্যান্সের (অধ্যাদেশ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
একাদশে ভর্তির নীতিমালা ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেগুলেশন ৪২ এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর শিক্ষার্থী ভর্তির সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদনও জানিয়েছেন আইনজীবী।
ইউনুছ আলী আকন্দ আরও বলেন, “একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষমতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের। কিন্তু সরকার আইনের বিধান লঙ্ঘণ করে ভর্তি নীতিমালা প্রণয়ন করে, যা বেআইনী। প্রতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে নটরডেম, হলিক্রস হাইকোর্ট থেকে আদেশ নিয়ে নিজেদের মতো করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করায়।” অন্যদিকে সারাদেশের সব কলেজগুলোতে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি করানো হয়, যা সংবিধানের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। নীতিমালা করার কারণে একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দমতো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারছে না।’
রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে।