এত কেন আত্মহত্যা?

মাহবুব নাহিদ |

মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় চাহিদা হচ্ছে তার জীবনকে বাঁচিয়ে রাখা। মানুষ মুখে হয়তো অনেক কথাই বলে, অন্য অনেক কিছুকেই অনেক গুরুত্ব দিয়ে ফেলে কিন্তু আসলে নিজের জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছুই নাই। তবে কিছু কিছু ব্যতিক্রম থাকবে, অন্য কিছুকেই গুরুত্ব দিয়ে ফেলতে পারে কিন্তু তার জন্য নিজের জীবন দেওয়া কতটা যৌক্তিক। সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে উত্তম দানই হচ্ছে আমাদের জীবন। 

ইদানীংকালে দেখছি আত্মহত্যা অর্থাত্ নিজেকে হত্যা করার প্রয়াস খুব বেড়ে গেছে। আবার খোঁজ নিলে দেখা যাচ্ছে এদের মধ্যে অনেকেই ছাত্র তথা উঠতি বয়সী। এরা অধিকাংশই হতাশায় পড়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রথম কথা হচ্ছে সকল ধর্মই আত্মহত্যা শব্দটাকে ঘৃণা করে এবং এটা অবশ্যই মহাপাপ। এই পাপকে যারা লুফে নিবে তারা তো বিপথগ্রস্ত। কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা হয়ত কোনো কিছু পাওয়ার আশা করি, তা না পেলেই নিজেকে বিলিয়ে দেই।

কিন্তু যদি নিজের জীবনই না থাকে তাহলে আর পাবোও বা কীভাবে! কিছু পেতে হলে তো নিজের বেঁচে থাকতে হবে আগে। আমরা আসলে বর্তমানকে খুব বেশি মূল্য দিয়ে ফেলি বলেই এসব হয়ে যায়। কিন্তু এই পৃথিবীতে এমন কোনো কষ্টই নাই যার জন্য নিজেকে শেষ করে দিতে হবে। আর করে দিয়েও কি আর পাওয়া যাচ্ছে! পৃথিবীতে কত মানুষ একবেলা খেতে পারছে না, একটু ঘুমানোর জায়গা পাচ্ছে না। 

তাদের কথা ভাবলে বুঝবো যে এদের চেয়ে আমরা ভালো আছি। অবশ্যই সামনে ভালো আসবে অর্থাত্ সুন্দর ভবিষ্যতের কল্পনা করে আমরা বর্তমানের বাজে সময়কে কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারি। আর যারা খুব হতাশ হয়ে পরে তাদের পারিপার্শ্বিকতা তাকে আরো বেশি এই জঘন্য কাজের দিকে ঠেলে দেয়। আশপাশে যারা থাকবে তারা অবশ্যই ঐ হতাশ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াবে এবং সমস্যাগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিবে, এমনটাই হওয়া উচিত। 

অনেকসময় দেখা যায় হতাশাগ্রস্ত মানুষকে পারিপার্শ্বিকতা আরো বেশি বাজে মনোভাবের দিকে ধাবিত করে। সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তা আমাদের একটি সুন্দর জীবন দিয়েছেন এবং লড়াই করার সকল সুযোগ দিয়েছেন। আমরা লড়াই করে বাঁচবো কিন্তু আত্মসমর্পণ করে কেন মরবো!? অবশ্যই এই সুন্দর জীবনের সুন্দরতম জায়গায় আমরা পৌঁছাবো কিন্তু পৌঁছানো পর্যন্ত তো অপেক্ষা করবো!

লেখক:শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সূত্র: ইত্তেফাক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.010776042938232