এনসিটিবিতে সদস্য দ্বিগুণ হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) চারজন সদস্য বাড়িয়ে একটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৭ সেপ্টম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
 
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘দ্য ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সট বুক বোর্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩’ বাংলায় রূপান্তর করে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে অল্প কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
 
‘আগে বোর্ডের গঠন ছিল- চেয়ারম্যান এবং চারজন সদস্য। এখন প্রস্তাব করা হয়েছে একজন চেয়ারম্যান এবং বিষয়ভিত্তিক আটজন সদস্য। মোট নয় সদস্য মিলে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাঁচজনের মধ্যে তিনজন উপস্থিত হলেই আগে কোরাম হতো, এখন প্রস্তাব করা হয়েছে পাঁচজনের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।’
 
সদস্যদের মধ্যে আগে কাজের ভাগ করে দেওয়া ছিল না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন আটজন সদস্যের প্রত্যেককে আলাদা কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
 
অর্থাৎ সদস্য পাঠ্যপুস্তক, প্রাথমিক শিক্ষাক্রম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম, মাদ্রাসা শিক্ষাক্রম, কারিগরি শিক্ষাক্রম, শিক্ষাক্রম (প্রশিক্ষণ), শিক্ষাক্রম (গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন) এবং অর্থ।
 
বোর্ডের কাজের মধ্যে দু’টি সংযোজনী আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃষাভায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা। এছাড়া ডিজিটাল ও মিথস্ক্রিয় পুস্তক প্রণয়ন ও অনুমোদন করার বিষয়টি নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে।
 
বোর্ড তার কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সময়ে প্রদত্ত অনুশাসন ও নির্দেশ দ্বারা পরিচালনা হবে, এটাও নতুন।
 
প্রতি বছর ৩১ মার্চের মধ্যে সরকারের কাছে রিপোর্ট প্রদান করার বিষয়টি নতুন করে সংযোজন করা হয়।
 
এনসিটিবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হবে।
 
বিপিটিএসি আইন অনুমোদন ‘দ্য বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার অর্ডিন্যান্স-১৯৮৪’ এটাকে সংশোধন করে নতুনভাবে ‘বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিটিএসি) আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।


 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বলতে গেলে তেমন বড় পরিবর্তন নেই। আগে যেটা নাম ছিল মেম্বার ডিরেক্টর স্টাফ, সেটাকে বলা হচ্ছে মেম্বার ডায়রেক্টিং স্টাফ। এগুলো বাংলায় প্রমিতকরণ করা হয়েছে।
 
বিপিএটিসির বোর্ড অব গভর্নেন্সের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে পদাধিকার বলে অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়টি এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।
 
প্রতিষ্ঠানের প্রধান রেক্টর এর নামটি ‘রেক্টর’ই রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050678253173828