কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার দক্ষিণ রাধাবল্লভ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য কেনা একটি সাধারণ দেয়ালঘড়ির দাম দেখানো হয়েছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। যদিও ঘড়িটির বাজার মূল্য সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা। এছাড়া একটি নিম্নমানের কাঠের টেবিলের দাম ৮ হাজার এবং চেয়ারের দাম দেখানো হয়েছে ৬ হাজার টাকা।
বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ খোদ শিক্ষকদের। আর সাড়ে ৮ হাজার টাকা মূল্যের ঘড়ির ভাউচারেও রয়েছে কাটাছেড়া। এ ঘটনা জানাজানি হলে হৈ-চৈ শুরু হয়েছে চিলমারী উপজেলা জুড়ে। সরেজমিন উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ রাধাবল্লভ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে উপকরণ ক্রয়ে দুর্নীতির বিষয়টি নজরে আসে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, স্কুলের উন্নয়নের বরাদ্দ থেকে তিনি আসবাবপত্রসহ ১ লাখ টাকার মালামাল ক্রয় করেছেন। এর মধ্যে জিপিআরএস মেশিন ক্রয় বাবদ ১২ হাজার টাকা, মা সমাবেশ বাবদ ৩ হাজার টাকা, ক্যাপ বাবদ ৮ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক মেশিন রাখার জন্য কেস ১ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক হাজিরা ডিভাইস ক্রয় বাবদ ১৫ হাজার টাকার ভাউচার দেখানো হয়েছে।
তবে, প্রতিবেদককে ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইসটি দেখাতে ব্যর্থ হন প্রধান শিক্ষক। এদিকে ১ হাজার টাকা দেয়ালঘড়ির মূল্য সাড়ে ৮ হাজার টাকা ভাউচার করায় খোদ স্কুলের অন্য শিক্ষকরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। উৎসুক লোকজন ঘড়িটির মূল্য সর্বোচ্চ এক হাজার বা বারশ টাকা হবে বলে জানান।
এছাড়া ঘড়ি কেনার ভাউচারে গড়মিল ধরা পড়ে। প্রথমে একটি টাকার অঙ্ক লেখার পর আবার সেটি কাটা হয় এবং পরে আবার সেটিও কেটে টাকার পরিমাণ উপরে লেখা হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেন্যান্সের টাকা দিয়ে এ সব উন্নয়ন কাজ করেছি।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রায়হান শাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।