মণিরামপুরে হাত-পা ছাড়া জন্ম নেয়া প্রতিবন্ধী সেই লিতুন জিরা আবারো মেধার স্বাক্ষর স্থাপন করলো। বৃহস্পতিবার উপজেলার গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে লিতুন এবার প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল করিম।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল করিম দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অত্র প্রতিষ্ঠানে মোট ৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে লিতুন ৯৪ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। অবশ্য ভর্তি পরীক্ষার আগেই ১লা জানুয়ারি লিতুনকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য লিতুনের পড়ালেখার সকল দায়িত্বভার নিয়েছেন।
অদম্য মেধাবি লিতুন প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং মেধাবি শিক্ষার্থীদের সাথে মনোবল নিয়ে প্রতিযোগিতা করে নিজের মেধা যাচাইয়ের লড়াই করে। সে মুখে ভর দিয়ে লিখে এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করে। তার বহু আশা ছিলো মণিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার। কিন্তু সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে প্রধান শিক্ষকের চরম অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয় লিতুনসহ তার বাবা-মা। ফলে মনোকষ্টে প্রধান শিক্ষকের অসদাচণের প্রতিবাদে লিতুন মণিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে উপজেলার গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়।
অবশ্যই পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার, প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী লিতুনদের বাড়িতে গিয়ে অসদাচরণের জন্য দু:খ প্রকাশ করে সমবেদনাও জানান। এমনকি লিতুনের পড়ালেখাসহ সকল ব্যয়ভার বহন করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী।