নেছারাবাদ উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের অ্যাডহক কমিটিতে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়ালের সভাপতি পদ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নোটিশ গ্রহণের সাত দিনের মধ্যে শিক্ষাসচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক, সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ ও সংসদ সদস্য আউয়ালকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
জানা যায়, গত বছরের ২১ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজটির পরিচালনা পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য আউয়ালকে ফের সভাপতি মনোনীত করে একটি ‘অ্যাডহক কমিটি’ গঠন করে পাঠায়। অ্যাডহক কমিটিতে আগের কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে সভাপতি মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলেজটির ছাত্র অভিভাবক মো. মাহফুজুর রহমান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি অরবিন্দ কুমার রায় (আনন্দ), ডিএজি জেসমিন সুলতানা, এএজি মো. আসাদুজ্জামান ও এএজি মো. মাহফুজুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ওই বছরের ১ জুন আইন প্রণেতাদের (এমপিদের) নিজস্ব নির্বাচনী এলাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনীত হওয়ার বিধানটিকে ‘সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’ ঘোষণা করে তাঁরা (এমপিরা) ওই পদে থাকতে পারবেন না বলে হাইকোর্ট রায় দেন। পরবর্তী সময়ে একই বছরের ১২ জুন আপিল বিভাগও হাইকোর্টের দেওয়া রায়ই বহাল রাখেন। হাইকোর্টের রুলের খবরটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।