এমপিও জালিয়াতি করে টিএন্ডটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

যথাযথ যোগ্যতা না থাকার পরও রাজধানীর টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট বিধিমালা লংঘনের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। আর কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রোববার (৯ ডিসেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন নিজামুল হক।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে কলেজের গভর্নিং বডির সুপারিশের আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসীন হোসেনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অনুমতি দেন। সে আলোকে একই বছরের ৩০ জুন অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে অধ্যক্ষের অভিজ্ঞতার কাগজপত্র ঘেটে দেখা যায়, তিনি যে এমপিওভুক্তির ইনডেক্স ব্যবহার করেছেন তা ঠিক নয়। আসাদুল হক নামের আরেক ব্যক্তির ইনডেক্স নম্বর তিনি ব্যবহার করেছেন। তথ্য গোপন করে অধ্যক্ষ পদে এমপিওর জন্য আবেদন করলে আবেদন ফিরিয়ে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ফলে এ নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় গভর্নিং বডি।

তবে মাউশি ঐ অধ্যক্ষের এমপিও না দেয়ায় উচ্চ আদালতে রিটপিটিশন করেন মহসীন। ঐ সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে ও নিয়োগ বোর্ডে সদস্য সচিবের দায়িত্বে থাকা মো. নুরুল্লাহও বলেন, মহসীন হোসেন প্রথমে এমপিওর ইনডেক্স নম্বর দেননি। পরে যখন এমপিওর ইনডেক্স নম্বর চাওয়া হয় তখন তিনি সেটি সংযুক্ত করে এমপিও শিট জমা দেন। তবে সেটি অন্য জনের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে জানিয়েছে, ফরিদপুর সিটি কলেজের এমপিওবিহীন চাকরির সাত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ঐ শিক্ষকের। আর ক্যামব্রিয়ান কলেজের পাঁচ বছরের চাকরিকে অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য করা যায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গভর্নিং বডির এক সিনিয়র সদস্য জানিয়েছেন, যে তথ্যের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেটিই ঠিক নয়। শিক্ষা অধিদপ্তর এটাকে ‘জাল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ফলে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাবার জন্য শিক্ষক হয়েও তিনি নিয়োগ বোর্ডের সঙ্গে এক প্রকার প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঐ অধ্যক্ষ তার অভিজ্ঞতায় যে তথ্য দিয়েছেন সে অনুযায়ী তিনি নিয়োগ পেতে পারেন না। তবে অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক মহসীন বলেন, আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। আর আমি নতুন এমপিওভুক্তির ইনডেক্স নম্বর পেয়েছি। এখন আর সমস্যা নেই। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057189464569092