চলতি বছরের শুরুতে এমপিওভুক্তির দাবিতে নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এমপিওভুক্তির আশ্বাস পেয়ে অনশন ভেঙ্গে শিক্ষকরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে যান। শিক্ষকদের মানুষের মর্যাদায় বেঁচে থাকতে এমপিওভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা। প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখা একটি চিঠি তুলে ধরা হলো :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আমরা কিছু সংখ্যক উচ্চ শিক্ষিত মানুষ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে সৎভাবে বেঁচে থাকার জন্য চাকুরি নিই সরকার অনুমোদিত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বিনা বেতনে শিক্ষাকতা পেশায় চাকুরি করেন এমন অনেক শিক্ষক মাসের পরে বছর আবার বছর ঘুরে যুগ পেরিয়েছেন ।
চলমান প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর নীতি থাকলেও হঠাৎ ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে এ নীতির কার্যকরিতা বন্ধ করে দেওয়া হয়, আবার ২০১০ খ্রিস্টাব্দে এই নীতির আলোকে এমপিও দিয়ে আবারও প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। যে কারণে পাঁচ হাজার ২৪২টি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নেয়া প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে এমপিওর দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করে ৫ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-কর্মচারিরা। তাদের এ অনশন কর্মসূচি বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী আপনার পক্ষ থেকে আপনার একান্ত সচিব আমাদের দাবি আপনি মেনে নিয়েছেন বলে ঘোষণা দিলে অনশন ভেঙ্গে আপনার ওপর আস্থা রেখে আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে, আশার আলো নিয়ে ঘরে ফেরে ক্ষুধার্ত শিক্ষক-কর্মচারিরা। বাড়ি ফিরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা সকলকে জানালে জনসাধারণ আপনাকে অভিনন্দন জানান। আমরাও খুশি আপনার ঘোষণায়। অতএব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি দ্রুত আপনার ঘোষণা বাস্তবায়ন করে এই ক্ষুধার্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষুধা নিবারণের ব্যবস্থা করুন।
বিনীত নিবেদক
শাহ-আলম সরদার, প্রভাষক, মাওলানা গোলাম মোস্তফা খান মহিলা কলেজ, নলছিটি, ঝালকাঠি।