বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন নীতিমালা (জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ( ২০১৮) লঙ্ঘন করে মতিঝিল টি এন্ড টি উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, শিক্ষা কর্মকর্তার মতে নীতিমালা ভঙ্গ করা হয়নি।
এমপিও নীতিমালার ১১.২ এ বলা আছে, ‘এমপিওভুক্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনবল কাঠামোর পরিশিষ্ট 'ঘ' তে বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ব্যতীত কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না।’ পরিশিষ্ট 'ঘ' তে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক বা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
কিন্তু এ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে একজন সহকারী শিক্ষক মোঃ সালাহ উদ্দিনকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছে মতিঝিল টি এন্ড টি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। অথচ প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও আরেক প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলামকে দ্বিতীয় অবস্থানে রেখে নিয়োগ বঞ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মতিঝিল টি এন্ড টি উচ্চ বিদ্যালয়। তার প্রেক্ষিতে গত ৫ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মতিঝিল টি এন্ড টি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি টি এন্ড টি এর একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। এছাড়া নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন মতিঝিল থানার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাক হোসেন। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও সরকারি নীতিমালা অমান্য করে সবাইকে বিস্মিত করেছেন এ কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও মতিঝিল থানা শিক্ষা অফিসার মুস্তাক আহমেদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি নীতিমালা জারির আগে প্রকাশ করা হয়েছিল। নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো ফল করায় শর্ত সাপেক্ষে মো. সালাহ উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’