এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির চতুর্থ সভা আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটির চতুর্থ সভা আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন কমিটির আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, মঙ্ঘরবার সকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। কোন কোন দিক থেকে এমপিও নীতিমালা সংশোধন বা সংস্কার করা যেতে পারে সে বিষয়ে সভায় আলোচনা করবে কমিটি। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভার আলোচনা নিয়েও চতুর্থ সভায় আলোচনা করা হবে।

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটির তৃতীয় সভায়  বেসরকারি কলেজের প্রভাষকদের পদোন্নতিতে অনুপাত প্রথা বাতিলের বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছায় এমপিও নীতিমালা সংশোধনে গঠিত কমিটি। সভায়  এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তবে, অনুপাত প্রথা বাতিল করে কি পদ্ধতিতে প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি দেয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিটি।  এছাড়া সভায় এমপিওভুক্তির শর্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা নিয়ে আলোচনা হয়। বিদ্যমান এমপিও নীতিমালায় একক শ্রেণি বা শাখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী সংখ্যা ন্যূনতম ৫০ জন ও পরবর্তী শাখার জন্য ন্যূনতম ৪০জন শিক্ষার্থী থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এ সংখ্যা একক শ্রেণির ক্ষেত্রে ৪০ ও পরবর্তী শাখার ক্ষেত্রে ৩০ করার প্রস্তাব করা হয় নীতিমালা সংশোধন কমিটির তৃতীয় সভায়। কমিটির কর্মকর্তা সদস্যরা শিক্ষার্থী সংখ্যা কমানোর বিষয়ে সহনশীল, তবে, কতজন কমানো হবে সে বিষয়ে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়নি। 

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তেত পৌঁছাতে পারেনি কমিটি। যদিও, বেশ কয়েকমাস ধরেই নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে বিদ্যমান শর্তগুলো শিথিল করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। এমপিওভুক্তির শর্তগুলো শিথিল করতে কমিটির ১ম সভায় কিছু প্রস্তাব করেছিল ননএমপিও শিক্ষক প্রতিনিধিরা। সেগুলো নিয়েই আজকের ২য় সভায় আলোচনা হয়েছে। 

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এমপিওভুক্তির যোগ্যতা হিসেবে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থী সংখ্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের নিয়োগের তারিখ থেকে বয়স গণনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতিতে অনুপাত প্রথা পরিবর্তনের সুপারিশ করেছেন কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধিরা। এমপিওভুক্তির যোগ্যতা হিসেবে প্রতিষ্ঠানের পাসের হার কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া এমপিওভুক্তি যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থী সংখ্যা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ভেদে কমানো প্রস্তাবনা করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থী সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানের মার্কিংয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া নীতিমালা সংশোধন করে বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় সভায়। নীতিমালা সংশোধন করে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে সভার কর্মকর্তারা মতৈক্যে পৌঁছেছেন। 

গত ১২ নভেম্বর বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক মাসের মধ্যে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করতে বলা হয়েছে এ কমিটিকে। কমিটিতে ননএমপিও শিক্ষক নেতারাও সদস্য হিসেবে আছেন। স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংস্কারের সুপারিশ করবে এ কমিটি। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদকে ১২ ডিসেম্বর গঠিত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। এছাড়া কমিটিতে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে আছেন। আর বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিবকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়।

এছাড়া ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার এবং সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায়কেও কমিটির সদস্য করা হয়। তবে, কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027389526367188