এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনের প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন। সোমবার (১৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়। সংগঠনটির সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল বাশার হাওলাদার চিঠির একটি অনুলিপি পাঠিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চিঠিতে আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, দেশের ৯৭ শতাংশের বেশি বেসরকারি শিক্ষক এবং তারা সবাই এমপিও নীতিমালা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছেন। চলমান এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী শিক্ষকরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমানে এমপিও নীতিমালা সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে, যার কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিক্ষকদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় চিঠিতে।
প্রস্তাবনাগুলো হলো- অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, মাদরাসা সুপারের বেতন গ্রেড পরবর্তী ধাপে উন্নীত করা, প্রভাষকের পদোন্নতিতে অনুপাত প্রথা বাতিল করা, অনার্স-মাস্টার্স ও ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করা,বেসরকারি শিক্ষকদের সরকারি অফিসসমূহে ডেপুটেশনে পদায়ন করা, বেতন স্কেলের ৮ম গ্রেড উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে গণ্য না করা ও শিক্ষা বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকদের পরামর্শ নেয়া।
চিঠিতে উল্লেখিত প্রস্তাবনাগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করার অনুরোধ জানান শিক্ষকেরা।