কোটা আন্দোলন জিইয়ে রাখতে চলছে অপতৎপরতা

বিভাষ বাড়ৈ/গাফফার খান চৌধুরী |

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার নেতা ফারুক হাসানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে গ্রেফতার আরেক নেতা রাশেদ খানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত আটজনকেই আন্দোলনের নামে নাশকতার ঘটনায় দায়েরকৃত পাঁচটি মামলায় গ্রেফতার দেখান হচ্ছে। এ দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন জিইয়ে রাখতে চলছে নানা অপতৎপরতা। মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের অভিভাবকদের ব্যানারে নতুন করে প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে।

আন্দোলনের নামে নাশকতা: চলতি বছরের ৮ এপ্রিল রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। হামলা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, শুধু ভিসির বাসভবনের ভবনটি টিকে ছিল। ভেতরে সবকিছু গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। বাসভবন থেকে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মাছ মাংস লুট হয়ে যায়।

ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসির বক্তব্য: ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, হালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে জিইয়ে রাখার নানাভাবে চেষ্টা চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের অভিভাবকদের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনের চেষ্টা করা হয়। যা ছিল একেবারেই পরিকল্পিত। পুলিশ সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছিল। পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়টি তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি করছেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে স্বাধীনতা বিরোধীরা লাশ ফেলে আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছিল। এ জন্য গুলি চালিয়েছিল তারা। তাদের গুলিতে এক ছাত্র আহত হয়। আহত ছাত্রের দেহে যে বুলেট ছিল, তা পুলিশের নয়। কারণ পুলিশ ঘটনার রাতে কোন প্রাণঘাতী অস্ত্র অর্থাৎ রাইফেল বা পিস্তল ব্যবহার করেনি। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ব্যবহার করেছিল।

আন্দোলনের নামে নাশকতার ঘটনায় পাঁচ মামলা দায়ের: আন্দোলনের পর পরই চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। আর সর্বশেষ গত রবিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক আল-নাহিয়ান খান জয় শাহাবাগ থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পঞ্চম মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামি হিসেবে সোমবার মিরপুর-১৪ নম্বর থেকে আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

নতুন করে এক নেতাসহ তিনজন গ্রেফতার: রাশেদের দেয়া তথ্য মোতাবেক মঙ্গলবার সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, তার দুই সহযোগী তরিকুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে মোট আটজন গ্রেফতার হলো। এর আগে ডিবি পুলিশ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। আটজনকেই পাঁচ মামলায় গ্রেফতার দেখান হচ্ছে। পাঁচটি মামলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ তদন্ত করছে।

মামলাগুলোর তদন্তকারী সংস্থা ডিবি থেকে প্রাপ্ত তথ্য: মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত তিনজনকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলা, গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতার অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখান হয়েছে। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক বাহাউদ্দীন ফারুকী আসামিদের মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সুব্রত ঘোষ শুভর আদালতে হাজির করেন। আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে রাখার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন করেন। বিচারক উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠান।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলার ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আন্দোলনকে সরকার হটাও আন্দোলনে রূপ দিতেই নানা অপচেষ্টা হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সরকার পতনের নীল নক্সা করা হয়েছিল। যার নেপথ্য ছিল সরকারবিরোধীরা। মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল জামায়াত-শিবির। রাশেদের শিবির কানেকশন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কথোপকথন তা স্পষ্ট করেছে।

ঢাবিতে এবার পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে কোটা সঙ্কট সমাধানে সরকারের কমিটি গঠনের পরেও এক অংশের অনড় অবস্থানে বিভক্ত হয়ে পড়েছে কোটা সংস্কারের আন্দোলন। চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে মানববন্ধন করেছে একটি পক্ষ। ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী’দের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছেন অধিকাংশ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। একই সময়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর’ ব্যানারে পাল্টা মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ। এ মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন হল কমিটির নেতা থাকলেও তাদের সঙ্গে ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে এতদিন যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষার্থী। যারা সরকারের উদ্যোগের পরেও কোটা সংস্কারের দাবির নামে চলা আন্দোলনকে উদ্দেশ্যমূলক ও শিবিরের তৎপরতা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী’দের মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার বিচার দাবি করেন এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আহ্বান জানান।

এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনেরও দাবি তোলেন তারা। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থী সামান্থা শারমিন, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, বিশ্ব ধর্ম সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া অনিমেষ, নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের সদস্য নূর আরাফাত, আলমগীর কবির সুমন। মানববন্ধনের পর মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানীর অফিসের সামনে আসেন। এ সময় তারা প্রক্টরকে বিভিন্ন প্রশ্নœ জিজ্ঞাসা করেন। প্রক্টর তাদের উদ্দেশে বলেন, ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যে সহিংসতা হয়েছে, সেটার তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তার কাজ কিছু দূর এগিয়েছে। যাদের ওপর হামলা হয়েছে, তাদের পরবর্তী সময়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ডাকলে অনেকেই আসেন না। তাই আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারছি না। তদন্তে সহায়তা করার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।

এ দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীর পাল্টা মানববন্ধনে ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরুর থেকে অংশ নেয়া এমনকি সংঘর্ষে আহত তানভীর হাসান সৈকত, শাহরিয়ার সাকিল, সাইফুল ইসলাম, নাসির হোসেন, শেখ সাগর, কামালউদ্দীন রানা, হাসিবুল হক শান্ত, সাকিব হাসান, মাহবুবুল হক প্রমুখ। সরকার দাবি মেনে নিয়ে সে অনুসারে কাজ শুরুর পরেও আন্দোলনের নামে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করার বিপক্ষে এ আন্দোলনকারীদের অবস্থান। ‘গুজবকে না বলুন’, ‘আবেগ সরিয়ে বিবেক আনুন’, ‘রাশেদ নূরের ছড়ানো গুজবে কঠোর জবাব দেবে ছাত্রসমাজ’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন তারা।

তানভীর হাসান সৈকত তাদের অবস্থান সম্পর্কে বলেছেন, আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে। এ আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা আহতও হয়েছি। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। সে অনুসারে কাজও চলছে। কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা মনে করি এর পরেও যারা দাবি তোলার নামে আন্দোলন করছেন তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এখন যারা আন্দোলন করছেন আমরা মনে করি তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সফলতা চায় না। তারা চায় অস্থিরতা। এদের নেতারা শিবিরের বাঁশের কেল্লার মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নাশকতায় উস্কানি দিচ্ছে। তাদের নেতা রাশের সঙ্গে শিবিরের বাঁশের কেল্লার প্রতি মুহূর্তের যোগাযোগ কীভাবে হচ্ছে তা দেখা দরকার।

মানববন্ধনে অন্যরা বলেন, কোটা সংস্কারের নামে একটি দল দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট ঘোষণার পরও এ ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরির ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। প্রধান দুই-তিন নেতারা আসলে অন্য রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়িয়েছি। আমরা যেকোন অন্যায় প্রতিহত করব।

কোটা আন্দোলনে আহতদের পাশে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী: বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, কেউ যদি অন্যায়ভাবে কোটা আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা না দিতে চায় আমরা গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেব।

মঙ্গলবার তিনি সাংবদিকদের বলেছেন, যারা আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা সেবা নিতে বাধা দিচ্ছে তাদের কোটা আন্দোলন নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তাদের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা যায় না। ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে কোটা আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নেয়ার সুযোগ দেবে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল।

ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য: গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কারের নামে ভিসির বাসভবনে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। পরদিন ১২ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা চালিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। ঘটনা তদন্তে মনে হয়েছে, কোটা সংস্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে ভিসির বাসভবনে হামলার যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অত্যন্ত পরিকল্পিত। হামলাকারীরা পেশাদার। ভিসির বাস ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে হামলাকারীরা। তারা সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে। যা হামলাকারীরা যে প্রশিক্ষিত, তা প্রমাণ করে। হামলাকারীদের অনেকেরই মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। তাও রীতিমতো রহস্যজনক। ডিবি পুলিশ কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন আহ্বায়ক রাশেদ খান, নুরুল হক ও ফারুক হোসেনকে ইতোপূর্বে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

 

সৌজন্যে: জনকণ্ঠ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023210048675537