বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮-এর কতিপয় বিধান সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। সংশোধিত নীতিমালায় স্নাতক (পাস) কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের বাধা কাটবছে প্রভাষকদের। গত ১২ জুন জারি করা নীতিমালায় উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ বা সহকারী অধ্যাপক পদে ৩ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হতো। সংশোধনীর মাধ্যমে সেখানে সহকারী অধ্যাপক বা প্রভাষক যেকোন পদে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই তিনি যোগ্য বিবেচিত হবেন।
তবে, স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালার একটি পৃষ্ঠার সংশোধনী নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মাঝখানের একটি মাত্র পৃষ্ঠায় সংশোধনী এনে তা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জাভেদ আহমেদ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কয়েকটি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে তিনি বলেছেন, ‘এই সংশোধনীর বিষয়ে তিনি জানেন।
অপরদিকে, শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন, আসলে আমরা কোনটা ফলো করবো, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সংশোধিত একটি পৃষ্ঠা সংম্বলিত নীতিমালার কপি মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ওই কপি দৈনিক শিক্ষার হাতে রয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য কয়েকটি বিষয় সংশোধন করে শিগগিরই নতুন করে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে কলেজ শিক্ষকদের আজীবনের দাবি, তাদের ভাষায় কালো আইন নামে পরিচিত সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা যথা নিয়মে একইভাবে (৫:২) বলবৎ রয়েছে। এ বিষয়ে নতুন কোন নির্দেশনা পাওয়া যায় নাই। নতুনভাবে শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের বিধি বহাল আছে।
এদিকে মাদ্রাসার জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন জনবল কাঠামো নীতিমালায় সংশোধনীর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করবেন কাল সোমবার।
কারিগরি শিক্ষকরাও বিএম শাখার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার চিন্তা করছেন।