ব্যাকডেটে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ এনে যশোর সদর উপজেলার বলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এমপিও স্থগিত করার উদ্দেশ্যে একটি চক্র সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের ডিও লেটারে স্বাক্ষরজাল করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা দিয়েছে। ওই জাল ডিও লেটারটি প্রত্যাহার করতে সংসদ সদস্য একটি ডিও লেটার দিয়েছেন। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটিতে সরোজমিনে তদন্ত করতে এসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক নিভা রানী পাঠক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যাকডেটে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে এ ধরণের একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটিতে তদন্ত করতে এসেছিলাম। সব শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে সাত শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগের বৈধতা পাওয়া যায়। বৈধ সাত শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তিতে কোন বাঁধা নেই। তার কয়েকদিন পরই একটি জালিয়াত চক্র সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের স্বাক্ষর জাল করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে ব্যাকডেটে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির এমপিও স্থগিত করার সুপারিশ করে একটি জাল ডিও লেটার দেয়। আমি তদন্ত করতে এসে এমপি সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওই ধরণের কোন ডিও লেটার তিনি দেননি। এমপি সাহেবের স্বাক্ষর জাল করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিও দেয়া হয়েছে। ওই ডিও লেটারটি প্রত্যাহার করার আহব্বান জানিয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তার কাছে একটি ডিও লেটার দিয়েছেন।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, বলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই অভিযোগের চার বার তদন্ত করা হয়েছে। সব প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি বিষয়টি মহাপরিচালকের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
তদন্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার এ এস এম আব্দুল খালেক, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আকরাম হোসেন ওরফে ক্ষিদির বিশ্বাস, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলীসহ অনেকে।