দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ফতেপুর দাখিল মাদরাসার মাঠে এবার আলু চাষের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন ওই মাদরাসার শিক্ষকগণ। তারা বলছেন প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার ব্যয়ভার মিটাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, মাদরাসার মাঠে আলু চাষ করা হলে এলাকার যুবসমাজ খেলাধুলাসহ মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ৭৬ শতাংশ জমি নিয়ে মাদরাসাটির কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে এটি পাঠদানের জন্য অনুমতি পায়। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে নবায়ন স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে ওই মাদরাসাটিতে ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারী এবং একশ ৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
মাদরাসাটির ভারপ্রাপ্ত সুপার বাবুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানটির এমপিওভুক্তি না হওয়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাদরাসাটি শহর থেকে দূরে হওয়ায় এখানে গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে। ফলে তাদের অনেক সময় ফরম পূরণ বাবদ টাকা মাদরাসাটিকেই বহন করতে হয়। তবে মাদরাসার মাঠে আলু চাষের বিষয়টি উপজেলা মাধমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মাদরাসা মাঠে আলু চাষের বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।