আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা৷ আর আগামী অর্থবছরে এমপিওভুক্ত সব প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখার আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
রোববার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এ আবেদন জানান সমিতির শিক্ষক নেতারা।
সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি ও মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন-বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ ১৬ বছরেও ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাসের পরিবর্তন নেই। এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা দেয়া হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে টাইমস্কেলের পরিবর্তে উচ্চতর গ্রেড দেয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৫ বছরেও তা কার্যকর হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা সহায়ক ভাতা নেই, নেই কোনো বদলি প্রথা।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি বেতনের যে সামান্য অংশ পায় তা থেকে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। এই সামান্য বেতন থেকে ঘর ভাড়া দিয়ে তাদের জীবন চলে না। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো সম্মানী বা ভাতা পায় না শিক্ষকরা। তাই সরকারিকরণ এখন সময়ের দাবি।
তাই চিঠিতে, আসন্ন ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসাথে সরকারিকরণে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্ধ রাখাসহ সরকারি ঘোষণা করার দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে।