দেশে শিক্ষকদের সিংহভাগই এমপিওভুক্ত। তাঁরা স্কেল অনুযায়ী বাড়িভাড়া, বার্ষিক ৫% ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখিভাতা, পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল ও উত্সবভাতা পান না—পদোন্নতি, স্বেচ্ছাঅবসর, বদলি সুবিধাসহ অসংখ্য বঞ্চনার শিকার। ৩০ জুলাই ’১৮-র প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গৃহঋণ সুবিধা সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রযোজ্য। অথচ একথাও সত্য, এমপিওভুক্তগণ সরকারের রাজস্বখাত থেকেই নিয়মিত পারিতোষিক পান। তাঁরা সরকারের কাছ থেকে যত্সামান্য অবসর সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাঁরা সব জাতীয় বেতনস্কেলের সুবিধা পেয়েছেন।
তাঁদের রয়েছে সামাজিক মর্যাদা ও পেশাগত অবস্থানজনিত বিশ্বস্ততা। তাঁরাও আয়কর দেন। তাঁরা ঠিকানবিহীন, ভাসমান পেশাজীবী নন। তাই এমপিওভুক্তগণ গৃহঋণের যৌক্তিক দাবিদার। বাসস্থান সবার মৌলিক অধিকার এবং আমাদের সাংবিধানিক দায়—সবার সমান সুযোগ। অতএব প্রত্যাশা, এমপিওভুক্তগণ শীঘ্রই গৃহঋণ সুবিধা পাবেন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর ১৭৩০