এমপিওভুক্ত হওয়ার চেষ্টায় অনেক নামসর্বস্ব ইবতেদায়ি মাদরাসা। সরেজমিনে আবেদন করা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কোনো কার্যক্রমই পাওয়া যায়নি। আবার তালিকায় নাম তোলার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও উঠছে বেশ কিছু চক্রের বিরুদ্ধে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ বলছে, যারা ভুয়া তথ্য দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছে বরগুনার দক্ষিণ-পশ্চিম ধূপতি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা। আবেদনের তথ্যে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে ১৪৩ জন শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
তবে শিক্ষার্থী দূরের কথা সরেজমিনে মাদরাসা কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। মাদরাসা বদলে এখানে আছে একটি মসজিদ।
এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছে বরগুনার মোট ২০৪টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা। এরমধ্যে ১৫০টি প্রতিষ্ঠানেরই অস্তিত্ব নেই। জেলা শিক্ষা অফিস বলছে, এসব মাদরাসার বিষয়ে তথ্য নেয়া হয়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য সারা দেশ থেকে--তথ্য পাঠানো ৪ হাজারের বেশি মাদরাসার মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানই নাম সর্বস্ব বলে অভিযোগ আছে।
আবার এমপিওভুক্তির তালিকায় নাম তোলার কথা বলে প্রতারক চক্রের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও আসছে।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির তালিকায় রাখা হবে না। নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সরাসরি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ করার আহ্বান কর্মকর্তাদের।