কারিগরি স্তরের বিএম (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট) বাদ দিয়ে এমপিওভুক্তকরণের তালিকা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের ফলে এ স্তরের কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, দেশে মোট স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিএম কলেজ রয়েছে ১ হাজার ৮৭৫টি। এর মধ্যে প্রায় ৭০০ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত। অবশিষ্ট ১ হাজার ১৭৫টি ননএমপিও বিএম কলেজ রয়েছে। বিএম স্তরে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
আরও পড়ুন : বিএম কলেজ এমপিওভুক্ত না হওয়ার আশঙ্কায় শিক্ষকরা
শিক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে তারা কাজ করছেন। আশা ছিল এবারের এমপিওভুক্ত হবার। কিন্তু জানা গেছে, এবারও এমপিওভুক্ত হচ্ছে না। তারা এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে তাদের জানানো হয়েছে, অর্থ সংকটের কারণে বিএম কলেজ এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হবে না। তবে ভবিষ্যতে এগুলো বিবেচনায় আনা হবে।
বিএম কলেজের শিক্ষকরা বলেন, বিএম স্তরের কলেজগুলো কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। সরকারের কারিকুলাম মেনে তারা শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে। এমপিও করার ক্ষেত্রে বিএম কলেজগুলোকে অবহেলা করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
সর্বশেষ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছে। গত বছরের ৫ থেকে ২০ আগস্ট বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কাছ থেকে অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন নেয়া হয়। এমপিও নীতিমালায় একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত পেতে প্রধান চারটি শর্ত রাখা হয়েছে। শর্তগুলো মেনে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। শিক্ষক নেতারা বলেন, আমরা সব প্রতিষ্ঠান নয়, শুধু যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোই এমপিওভুক্ত দাবি করে আসছি।
এদিকে, অর্থ সংকট দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজগুলোকে আপাতত এমপিওভুক্ত না করার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন। তাই এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়ায় এইচএসসি বিএম কলেজগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছে ফেডারেশনের শিক্ষক নেতারা। গত ২১ আগস্ট দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়।