এমপিওভুক্তি বাতিল দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

চবি প্রতিনিধি |

শিক্ষকদের দাবির মুখে প্রায় তিন হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকার এমপিওভুক্ত করার পর এর একটির শিক্ষার্থীরা ননএমপিও থাকার দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে।

এই বিদ্যালয়টি হল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ। এর শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন করে সড়কে নেমে বিক্ষোভ দেখায়, তালা দেয় অধ্যক্ষের কক্ষে; এমপিওভুক্তির জন্য অধ্যক্ষের পদত্যাগও দাবি করেছে তারা।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে, তারা স্বায়ত্তশাসিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্বে থাকতে চান, সরাসরি সরকারের কর্তৃত্বে যেতে চান না।

শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার সরকার ২৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ‘মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার’ বা এমপিওতে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতনের মূল অংশ এখন সরকারি কোষাগার থেকে হবে।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক শাখায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ রয়েছে। এই মাধ্যমিক বিদ্যালয় এতদিন সরাসরি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হত, এখন সরকার শিক্ষকদের বেতন দেবে বলে সরকারি বেশ কিছু নিয়ম-কানুনও এর উপর প্রযোজ্য হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নেতৃস্থানীয় একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হই। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ আমাদের এই প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নেন। 

“আমাদের কলেজে বেশ কয়েকজন শিক্ষক খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করছেন। এমপিওভুক্ত হলে তাদের চাকরি চলে যাবে। আমরা শিক্ষার্থী হয়ে চাই না আমাদের কোনো শিক্ষক চাকরিচ্যুত হোক।”

এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফজলুল হককে দায়ী করে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

তিনি ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন শামসাদ বেগম চৌধুরী, বৃহস্পতিবার তিনি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন।

তিনি বলেন,“শিক্ষার্থীরা আমার কক্ষেও তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় আমি বের হই।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সাথে আমাদের শিক্ষকদের কথা হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”

এমপিওভুক্তির বিষয়ে শামসাদ বলেন, “আমি এমপিওভুক্তির ব্যাপারে কিছুই জানি না। ফজলুল হক স্যার চিকিৎসা ছুটিতে রয়েছেন। আমি শুধু মাত্র কয়েকদিনে জন্য ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।”

ছুটিতে থাকা অধ্যক্ষ ফজলুল হক টেলিফোনে বলেন, “এটা সরকারের একটি সিদ্ধান্ত, এখানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অযৌক্তিক। বিভিন্ন জনের প্ররোচনায় তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে।”

বিষয়টি নিয়ে ভাবনায় পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।

বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, “আমরা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষা শেষ হলে সকলের সাথে বসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055580139160156