ভুলক্রমে তালিকায় ঢুকে পড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত হয়েছে। কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে, কার ভুলে এসব প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করার দিকে যাননি কর্মকর্তারা। তার বদলে মোটামুটি ভুল বা যুদ্ধাপরাধীদের নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান এবং সরকারিকরণ ও ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে একটা সারাংশ তৈরি করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা। স্বীকৃতির সমস্যার কারণে ভুল হওয়া প্রতিষ্ঠানও চিহ্নিত হয়েছে। এসব ভুল প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরিতে মাঠ পর্যায় থেকে সহায়তা করেছেন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। শুক্রবার দিনভর রাজধানীর পলাশীর ব্যানবেইস ভবনে কাজ করেছেন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা। তাদেরকে সহায়তা করেছেন ব্যানবেইসের একজন নিজস্ব কর্মকর্তা। এই সারাংশটি খুব শিগগিরই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন কয়েকজন কর্মকর্তা।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘স্বীকৃতির গলদে, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দেয়া ভুল তথ্যের কারণে, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়ার কারণসহ বিভিন্নভাবে তালিকায় ঢুকে পড়া ভুল প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সাংরাশটাসহ ভুল প্রতিষ্ঠানের তালিকা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে আসছে সপ্তাহে।’
২৩ অক্টোবর দুই হাজার ৭৩০ প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশের পর পত্রিকা বিশেষ করে দৈনিক শিক্ষাডটকম, ভোরের কাগজ, দৈনিক জনকণ্ঠ ও দৈনিক সংবাদে যুদ্ধাপরাধীর নামে, প্রায় অস্তিত্বহীন, সরকারিকৃত, এমপিওভুক্ত, ভাড়াবাড়িতে ও ট্রাস্ট পরিচালিতসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও অসঙ্গতির তথ্য প্রকাশ হয়। ভুল নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোই মূলত কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন।