এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতি : সেই শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহকে  বরখাস্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাকে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাস থেকে তাকে ভূতাপেক্ষ বরখাস্ত করা হয়েছে। দৈনিক শিক্ষাডটকমের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে শিক্ষা কর্মকর্তার এমপিও দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর সম্প্রতি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহকে ভুতাপেক্ষ বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত মাসে আদেশ জারি হয়। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘুষ খেয়ে শত শত শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ এবং এমপিওভুক্ত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইবব্রাহিম খুলিলুল্লাহ ও তার কয়েকজন সাগরেদ। দুর্নীতির ছয়টি মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। তিনটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে। তবুও জামিনে মুক্তি পেয়েূ বহাল তবিয়তে চাকরি করছিলেন জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে নাটোরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থাকাকালে নাটোরের লালপুরে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁকে প্রধান আসামি করে সাতটি মামলা করে। তবে, গত ৫ অক্টোবর ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ দাবি করেছেন, তিনি জামিনে আছে এবং নির্দোষ।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহী সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ৩১ ডিসেম্বর এই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে লালপুর থানায় আটটি মামলা করেন। এর মধ্যে সাতটি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয় নাটোরের সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহকে। একটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়নি।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজে লাভবান হয়েছেন এবং অন্যজনকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে কোনো নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছেন, এমপিওভুক্ত করেছেন এবং বেতন ওঠানোর চেষ্টা করেছেন। এ কাজ করে তাঁরা ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দুই নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে নাটোর থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহকে ঝিনাইদহ জেলায় বদলি করা হয়। সেখান থেকে আগস্ট মাসেই তিনি নওগাঁয় বদলি হয়ে আসেন। এরপর ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দেরে আগস্টে তাঁকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি করা হয়। এখন তিনি জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054500102996826