এমপিওভুক্তিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির পদত্যাগ দাবি করেছেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম বিভাগের নেতৃবৃন্দ।
রোববার (২১ জুন) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। বক্তারা বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ডিসির মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছি এবং তাদের সঙ্গে বৈঠক করে যখন সবকিছু গুছিয়ে আনি, তখনই ভিসির বিরোধিতায় সব ভেস্তে যায়। তাই এ মুহূর্তে এমপিওভুক্তিতে বাধা দেওয়ার জন্য আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সহসভাপতি মাহাবুবুর রহমান, হুমায়ুন করিম, নুর নবী, মাকসদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোমেন দে, কাজী এমদাদুল হক, মো. রাসেল, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সুকান্ত নন্দী, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক রিম্পা মুৎসুদ্দী, মোহাম্মদ মামুন, প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, প্রকাশনা সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ফোরামের চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, 'প্রতিষ্ঠার এত বছর পরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের অনুমোদন দিচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকদের বেতনের দায়িত্ব নিচ্ছে না। অথচ একই কলেজের ইন্টারমিডিয়েট, ডিগ্রির শিক্ষকরা এমপিও পান, মাদ্রাসায় কামিল পর্যন্ত এমপিও আছে, শুধু নেই আমাদের। এটা চরম বৈষম্য। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০১৭ সালে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে একটি সুপারিশ আসে এবং এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত চায়। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কোনো মতামত না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করেছেন।'