এমপিওভুক্তিতে ভুল : অতিরিক্ত সচিবকে বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে ভুলের দায়ে যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদকে বদলি করা হয়েছে। তাকে ভূমি মন্ত্রাণালয়ে বদলি করা হয়েছে বলে জন প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছে।

তাকে গত ২৯ অক্টোবর তাকে ভূমি মন্ত্রাণালয়ে বদলির আদেশ জারি করা হলেও তিনি বদলি ঠেকাতে ব্যস্ত বলে মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে। তালিকায় কয়েক হালি ভুল নিয়ে দৈনিক শিক্ষায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তবে, জাবেদ আহমেদ দাবি করে আসছিলেন তালিকায় কোনও ভুল হয়নি। তাকে সমর্থন করেন আরো অনেকে। 

জানা যায়, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য গত বছরের আগস্টে আবেদন করে নয় হাজার ৬১৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে দুই হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ অক্টোবর এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়। এরমধ্যে ২০৪টি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় এমপিও দেয়া হয়েছে। তার মানে তথ্য যাচাইয়ের জন্য সময় পেয়েছে এক বছরেরও বেশি। যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব  মো. জাবেদ আহমেদ। 

নীতিমালা অনুযায়ী চার শর্ত পূরণকারী প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো- প্রতিষ্ঠানের বয়স বা স্বীকৃতির মেয়াদ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার। প্রতিটি পয়েন্টে ২৫ করে নম্বর থাকে। কাম্য শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং স্বীকৃতির বয়স পূরণ করলে শতভাগ নম্বর দেয়া হয়। সর্বনিম্ন ৭০ নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হয়েছে। এবার আবেদন করা প্রায় ৭২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা ও শর্তপূরণ করতে না পারায় এমপিও পায়নি।

এদিকে সাবেক শিক্ষাসচিব ও দৈনিক শিক্ষার প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম খান মনে করেন, এমপিওভুক্তির জন্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করেও এমপিওভুক্তির নির্ভুল তালিকা করতে না পারার দায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। তালিকাভুক্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অদক্ষতায় গড়পড়তা সমালোচনা শুনতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারকে। অদক্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

গত ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত এমপিওভুক্তির তালিকায় প্রায় অস্তিত্বহীন, যুদ্ধাপরাধের আসামি প্রতিষ্ঠিত, সরকারিকৃত এবং আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম দেখে মন খারাপ করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান নেপথ্য কারিগর ও স্মরণকালের সেরা শিক্ষাসচিব এন আই খান। প্রায় অস্তিত্বহীন, যুদ্ধাপধরাধী প্রতিষ্ঠিত, সরকারিকৃত প্রতিষ্ঠানও এমপিওর তালিকায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্ভোধন হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় দক্ষতার সাথে পুরো তালিকা ওয়েবসাইটে দিতে না পারার খবর শুনে মন খারাপ করেছিলেন এন আই খান।  

দুই হাজার ৭৩০ প্রতিষ্ঠান বলা হলেও বাস্তবে নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে মাত্র ১৪২৮টি। এত কম সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের সঠিকতা যাচাইয়ের নানা মেকানিজম মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। 

‘মন্ত্রণালয় যদি দাবি করে আবেদনকারীরা ভুল তথ্য দিয়েছে বা তথ্য গোপন করেছে তাই এমনটা হয়েছে, তাহলে তা আরও হাস্যকর যুক্তিH তাহলে প্রশ্ন আসবে, যদি ভুল তথ্য দেয়ার জন্য এমনটা হয় তাহলে এক বছরের বেশি সময় ধরে যাচাই করলেন কী?,’ যোগ করেন এন আই খান। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026590824127197