ননএমপিও স্কুল ও কলেজ প্রধানদের নাম, ইমেইল ও ফোন নম্বর সংগ্রহের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কথিত একটি চিঠি নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় চলছে। এই তোলপাড় সৃষ্টির পেছনে ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামের ভূমিকা রয়েছে। চিঠির ভাষার অসঙ্গতি খেয়াল না করে কথিত ওই চিঠিটি তিনি তার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিতরণ করেন।
দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা গেছে আসল তথ্য। দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে সারাদেশের অন্তত ১০ জন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে সোমবার বিকেলে যোগযোগ করা হয়। তারা সবাই বলেছেন, মন্ত্রণালয়েও ওয়েবসাইটে পাননি, মন্ত্রণালয় থেকে ইমেইলও পাননি।
জানতে চাইলে ময়মনসিংহের জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, “ডাকযোগে গতকাল (১৫ জুলাই) চিঠিটি পেয়ে আমার অধীনস্ত সব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। চিঠিটির বিষয়ে আমি নিজেও সন্দিহান।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানা যায়, এরকম কোনো চিঠি তারা ইস্যু করেননি। কথিত ওই চিঠিতে স্বাক্ষরদাতা বাজেট শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জাহাঙ্গীর আলম। বাস্তবে এই নামে বাজেট শাখায় কোনও সিনিয়র সহকারী সচিব নেই।
কথিত ওই চিঠিতে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিজ প্রতিষ্ঠানের প্যাডে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ছক অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম, তথ্য আদান প্রদানের ইমেইল এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের মোবাইল নম্বর ইমেইল করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের যৌথ একটি মেইলে সব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ননএমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে দেয়ার নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের এক শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দালালদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময়ে জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্তকরণের নামে টাকা পয়সা আদায় করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে সতর্কীকরণ নোটিসও জারি করা হয়েছে।