এমপিওভুক্তির তথ্য যাচাইয়ে ব্যর্থ নির্বাচিত ২৮ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

নতুন এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত ২৮টি প্রতিষ্ঠান তথ্য যাচাইয়ে ব্যর্থ হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে তথ্য যাচাই শুরু হয়। আগামী ২৩ ডিসেম্বরের পর্যন্ত ঢাকা বোর্ডে প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই করা হবে। নির্ধারিত সময়ে এ ২৮টি প্রতিষ্ঠান তথ্য যাচাইয়ের জন্য উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আগামী ২৪ ডিসেম্বর এ ২৮টি প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে এমপিওভুক্তির তথ্য যাচাইয়ে ফের ঢাকা বোর্ডে আসতে বলা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।   

অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, নতুন এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পাওয়া প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই করতে আরও ৭৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ঢাকা বোর্ডে আসার নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ৪ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে এসে তথ্য উপস্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হলেও। তবে আজ ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৮টি প্রতিষ্ঠান বোর্ডে তথ্য উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের ফের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানদের ২৪ ডিসেম্বর তথ্য নিয়ে ঢাকা বোর্ডে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।   
 
নতুন এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে এমপিওভুক্তি তথ্য যাচাইয়ের কাগজপত্রের মূলকপি ও ১সেট ফটোকপি নিয়ে নির্ধারিত সময়ে ঢাকা বোর্ডে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। 

তথ্য যাচাইয়ে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। 

তালিকা দেখতে ক্লিক করুন: 

জানা গেছে, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি পর্যায়ে ১ম পাঠদান ও স্বীকৃতির থেকে ধারাবাহিকভাবে সর্বশেষ স্বীকৃতির মূল কপি ও ফটোকপি লাগবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের ১ম পাঠদানের অনুমতি এবং পর্যায়ে ভিত্তিক স্বীকৃতির প্রথম কপি ও শেষ আদেশের মূলকপি ও সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের প্রতিষ্ঠানগুলোর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের শ্রেণিভিত্তিক ভর্তি রেজিস্টার ও শ্রেণি ভিত্তিক হাজিরা খাতার মূলকপি ও সত্যায়িত ফটোকপি তথ্য যাচাইয়ে প্রয়োজন হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের ২০১৫.২০১৬, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের প্রতিষ্ঠানগুলোর স্তরভিত্তিক পাবলিক পরীক্ষার ফরমপূরণ, রেজিস্ট্রেশনের প্রিন্ট কপি, রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমার রশিদ ও স্তরভিত্তিক পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফলের মূল কপি ও সত্যায়িত ফটোকপি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ে প্রয়োজন হবে।

গত ১২ গঠিত নভেম্বর স্কুল ও কলেজের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে ৭ সদস্যের কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. গোলাম ফারুককে। তারা সঠিকতা যাচাই করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবে। গত ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত এমপিও তালিকায় স্থান পাওয়া এক হাজার ছয়শ পঞ্চাশটি স্কুল ও কলেজের তথ্য যাচাই করবে এই কমিটি। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকেও রাখা হয়েছে কমিটিতে।

জানা যায়, এর আগে নতুন এমপিওভুক্তির জন্য গত বছরের আগস্টে আবেদন করে নয় হাজার ৬১৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে দুই হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ অক্টোবর এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়। এরমধ্যে ২০৪টি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় এমপিও দেয়া হয়। তালিকা প্রকাশের পর বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় বঞ্চিত ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে। 

নীতিমালা অনুযায়ী চার শর্ত পূরণকারী প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো- প্রতিষ্ঠানের বয়স বা স্বীকৃতির মেয়াদ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার। প্রতিটি পয়েন্টে ২৫ করে নম্বর থাকে। কাম্য শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং স্বীকৃতির বয়স পূরণ করলে শতভাগ নম্বর দেয়া হয়। সর্বনিম্ন ৭০ নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হয়। গত ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত এমপিওভুক্তির তালিকায় প্রায় অস্তিত্বহীন, যুদ্ধাপরাধের আসামি প্রতিষ্ঠিত, সরকারিকৃত এবং আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0058729648590088