সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাক্সেস এনহ্যান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণি-শিক্ষক (এসিটি) এসোসিয়েশন। সোমবার ( ১৪ মে) সকাল ১১ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণি-শিক্ষক এসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ বলেন, দীর্ঘ ৫ মাস অতিবাহিত হলেও অতিরিক্ত শ্রেণি-শিক্ষকদের ব্যাপারে চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হয়নি। অথচ আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১০ লাখ শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করা বিনা বেতনে নিজ খরচে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছি। এসব শিক্ষার্থীর ঝরেপড়া রোধ করতে এসে এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী ঝরে যাওয়ার আশঙ্কায় আছি। আমার আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বয়স ও অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে আমাদের এমপিওভুক্তি করার ব্যবস্থা নিবেন।
এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন বলেন, ম্যানুয়াল বইয়ে উল্লেখ আছে সকল এসিটিদের প্রকল্প শেষে পরবর্তী প্রকল্পে অথবা এমপিওভুক্তির মাধ্যমে স্থায়ীকরণ করা হবে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও এ কথা উল্লেখ ছিল। যার প্রতিফলন সেকায়েপ এসিটিদের ক্ষেত্রে এখনো ঘটেনি। এ বিষয়ে আমরা অবিলম্বে সরকারি আদেশ (জিও) চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণি-শিক্ষক (এসিটি) এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা যথাক্রমে বরিশাল বিভাগ মো: আরিফ হোসেন, রংপুর বিভাগ রাফিউল ইসলাম রাফি, ঝালকাঠির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ শামীম, সভাপতি মাদারীপুর মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুর শহিদুল ইসলাম,সভাপতি ময়মনসিংহ আবু রায়হান, প্রচার সম্পাদক ময়মনসিংহ নেওয়াজ শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ মোশারফ,সাধারণ সম্পাদক মুন্সীগঞ্জ আশরাফুল ইসলাম,নওগা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, সভাপতি নেত্রকোণা আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ময়মনসিংহ আনিসুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য,মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করতে সরকার চালু করেছিল সেকায়েপ প্রকল্পটি। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে এ প্রকল্পটি চালু করা হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় তিন হাজার চারশ’ ৮০ কোটি টাকা। দুর্গম ৬৪টি উপজেলার দুই হাজার ১১টি স্কুলে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে ছয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়।