কুড়িগ্রামে মধ্যকুমরপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় পুনর্বিবেচনার জন্য মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশ নেয়। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক আব্দুর রশীদ, আশরাফুল আলম, হযরত আলী, রেজাউল হক, মঞ্জুমান আরা বেগম, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শিমু আক্তার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘কুড়িগ্রাম শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নারীদের উচ্চ শিক্ষায় ভালো ফলাফল করে আসছে মধ্যকুমরপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ২২০ জন নারী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। সব শর্ত পূরণ করার পরও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে চলতি বছরে এমপিওভুক্তির আওতায় আসেনি। আমরা চাই পুনর্বিবেচনা করে আমাদের কলেজটি এমপিওভুক্তি করা হোক।’
এদিকে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৌর মহিলা কলেজকে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় ফরিদপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পৌর মহিলা কলেজসহ শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে ফরিদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম হোসেন, পৌর মেয়র খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন পারভীন মুক্তি, প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজ উদ্দিন ও অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল উপজেলার অন্যান্য এমপিওভুক্ত কলেজের চেয়ে ভালো। কিন্তু চলতি বছরে ঘোষিত এমপিওভুক্তির তালিকায় শুধু কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট শাখা অন্তর্ভুক্ত হয়। এতে কলেজের মূল শাখা এমপিওভুক্ত না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এখন অনতিবিলম্বে কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলে কলেজে অধ্যয়নরত দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাদান কার্যক্রম মারাত্মক বিঘ্নিত হবে।