এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ: শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলে আগুন লাগায় এমপিওভুক্তির সফটওয়্যার বিকল হয়েছে। ফলে মাঠ পর্যায় থেকে এমপিওর আবেদন প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ রয়েছে। আজ ১৫ মে আবেদন প্রক্রিয়াকরণের শেষ দিন। অথচ অনলাইনে প্রক্রিয়াকরণের জন্য এমপিওর সফটওয়্যারটি কাজ করছে না। ফলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা নির্ধারিত সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে এমপিওপ্রত্যাশীদের আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করতে পারছেন না। কর্মকর্তারা আবেদনকারীদের কোনও সদুত্তরও দিতে পারছেন না। 

এদিকে, এমপিওভুক্ত হতে না পারার আশংকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা দৈনিকশিক্ষাকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তারা অতিদ্রুত সফটওয়্যারটির মেরামত ও এমপিও প্রক্রিয়াকরণের সময় বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা মনে করছেন, শিক্ষা প্রশাসনের সর্বত্র বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা দখল করে থাকায় বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-ভাতার মতো মৌলিক বিষয়াদিও অবহেলিত থাকছে দিনের পর দিন।

জানা যায়, শিক্ষা ভবনের ২য় ব্লকের পাঁচ তলায় এমপিও প্রক্রিয়াকরণ ও তথ্য ভাণ্ডারে আগুনের ঘটনা তদন্তে গত ৯ এপ্রিল  ৫ সদস্য বিশিষ্ট  তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদাকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মোস্তফা কামাল, উপ পরিচালক খুরশীদ আলম, সহকারি পরিচালক (প্রকৌশল) মোঃ আঃ খালেক ও সেসিপের সহকারি পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম।  তারা সবাই বি সি এস শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত।

     

উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল বুধবার সকালে অথবা ৮ এপ্রিল গভীর রাতের যেকোনো সময় ইএমআইএস সেলে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে  ক্ষতিগ্রস্থ হয় বিপুল পরিমাণ এমপিওভুক্তির নথিপত্র, এসি, একাধিক কম্পিউটার ও সার্ভারের যাবতীয় তথ্য। প্রায় পাঁচ লাখ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর সরকারি বেতন-ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) বিতরণ ও যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করার একমাত্র তথ্য ভান্ডার ইএমআইএস সেল। প্রতিমাসে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিও আদেশের কপি ছেপে তা ব্যাংকে পাঠানো হয় এই সেল থেকেই।

তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদা দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, মেরামতের চেষ্টা চলছে। এমপিওর আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সময় বৃদ্ধির জন্য মহাপরিচালকের কাছে অনুরোধ জানাবেন।  

নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুর সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, প্রতিদিন শত শত শিক্ষক-কর্মচারী উদ্বিগ্ন হয়ে আবেদন প্রক্রিয়াকরণের অগ্রগতি জানতে চান।  


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036540031433105