এমপিওভুুক্তির দাবি জানাতে শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ অনার্স শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এমপিওরভুক্তির দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সরকারি বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন কিছু সংখ্যক অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরেই তারা বেসরকারি স্কুল কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ দাবিতে রোববার (১২ জুলাই) ‍দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা।  

তবে, মূল গেটেই তাদেরকে আটকে দেন পুশিশ সদস্যরা। ফলে কিছুক্ষণ গেটের বাইরে অবস্থান করার পর  এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন মন্ত্রীর বাসভবন জমা দিয়ে নিজ নিজ বাড়ীতে চলে যান শিক্ষকরা। যদিও, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ সময় বাসায় ছিলেন না।

শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সকালে ২৫/৩০ জন শিক্ষক মিন্টু রোডের রাস্তার ওপর এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সাথে কথা বলেন।  কিছুক্ষণ পরেই তারা শিক্ষামন্ত্রী বাসভবনে উপস্থিত একজন কর্মকর্তার হাতে একটি আবেদন দিয়ে চলে যান।

জানা গেছে, অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের নেতা মনিরুজ্জামান মোড়ল তার অনুসারী শিক্ষকদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান মোড়ল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এমপিও নীতিমালা সংশোধনীতে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের অনুরোধ করায় আমরা সরে এসেছি। শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের একজন কর্মকর্তার কাছে আবেদনের কপি জমা দিয়ে এসেছি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের রোধে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ  মুহূর্তে রাজধানীর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর এলাকা মন্ত্রিপাড়ায় কেন অবস্থান কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে এ শিক্ষক নেতা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত হতে পারছি না। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। ১৩ জুলাই এমপিও নীতিমালা সংশোধনের চূড়ান্ত সভা অনুষ্ঠিত হবার কথা আছে। অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি আমাদের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তাই মন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলাম।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030908584594727