এমপিও স্থগিত হওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সেনেরগাঁতী বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিধান চন্দ্র ঘোষ। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) রাতে বিষপান করলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তালার দৌলতপুর গ্রামের মৃনাল কান্তি ঘোষের ছেলে বিধান চন্দ্র ঘোষ একই উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের সেনেরগাঁতী বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
২০০২ খ্রিস্টাব্দে সেনেরগাঁতী বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন বিধান চন্দ্র ঘোষ। কিন্তু ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ আগস্ট বিদ্যালয়টি তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। মন্ত্রণালয়ের তদন্তের পর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ বিধান চন্দ্রসহ ৭ শিক্ষককে ‘নিয়োগ সঠিক নয়’ বলা হয়। পরে তাদের শোকজ করা হয়। এরপর ২০১৮ খ্রিস্টা্ব্দের ১০ মে বিভাগীয় মামলার শুনানির জন্য তাঁকে মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। গত ২৩ জুন তাঁর এমপিও স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি সেপ্টেম্বর মাসের বেতন উত্তোলনের সময় তিনি দেখেন এমপিও শিটে তার নাম আসেনি। এ লজ্জায় মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে তিনি বিষপান করেন।
সেনেরগাঁতী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মজিদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ‘২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ শোকজ করা হলে, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৭ এপ্রিল জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তার জবাব পাঠানো হয়। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জুন শোকজের জবাব পাঠানো হয়নি মর্মে আবার শোকজ করা হয়েছিল। এরপর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো চিঠিতে শিক্ষকদের এমপিও বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়। তবে এতদিন বেতনভাতার সরকারি অংশ পেয়ে আসছিলেন বিধান চন্দ্র। সেপ্টেম্বর মাসের এমপিও শিটে তার নাম আসেনি বলে জানতে পেরেছি।’
তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আতিয়ার রহমান জানান, ‘সেনেরগাঁতী বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের আত্মহত্যা করেছেন বলে শুনেছি। তবে আত্মহত্যার কারণ সুস্পষ্টভাবে এখনো জানতে পারিনি।’